মোদীজিকে দেদার মিষ্টিমুখ বীরভূমের মুসলিম মহিলাদের

লাল্টু : লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষের গত সপ্তাহে তিন তালাক বন্ধ হওয়ার পক্ষে মোদি সরকারের সক্রিয়তায় বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষের তিন তালাক বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতিও দিয়ে দিয়েছেন ইঙ্গিত, তিন তালাক বিরোধী আইন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আর এই তিন তালাক বিল মোদি সরকারের তৎপরতায় সংসদের দুই কক্ষে পাশ হতে সক্ষম হয়েছে বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের, যে বিল নিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ কোন সরকার তৎপর হয়ে ওঠে নি, সেই বিল মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে সফল হতে সক্ষম হলো। সংসদের উভয় কক্ষের তিন তালাক বিল পাস হয়ে যাওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট করে জানান, “তিন তালাক বিল পাস হয় মধ্যযুগীয় প্রথার অবসান ঘটতে চলেছে। এই প্রথাকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করা সম্ভব হয়েছে। মুসলিম মহিলাদের সাথে দিনের পর দিন যে ঐতিহাসিক ভুল, সেই ভুল শোধরানো সম্ভব হলো এত দিনে। আর এটি লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং সামনের পক্ষে বড় জয়।” তিনি আরও বলেন, “মুসলিম মা বোনেরা সম্ভ্রমের সাথে বাঁচার অধিকার পাবেন।”

আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, এই তিন তালাক বিল পাস হওয়ায় মহিলাদের ক্ষমতায়নে দিশা দেখাবে। এ যাবৎ কোটি কোটি মহিলাদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছিল। সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করা হলো এত দিনে। এই বিল পাশ করতে পারায় আমি গর্বিত, আমার সরকার গর্বিত। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যারা এই বিল পাশ করার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন তাদের ধন্যবাদও জানান।

আর এই তিন তালাক বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর খুশির হাওয়া মুসলিম মহিলাদের মধ্যেও। আর সেই খুশিকে প্রকাশ করতে আজ বীরভূমের একটি ধর্মশালায় মোদীজিকে মিষ্টি মুখের আয়োজন করে দুবরাজপুরের বেশ কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ’খানেক মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলা, যারা রীতিমতো ঘটা করে মোদিজীর ছবি লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এক মুসলিম মহিলা জানান, “তিন তালাক থেকে মোদি সরকার আমাদের মুক্তি দিলেন। আমাদের মত মুসলিম মহিলাদের জন্য এতকিছু করার জন্য মোদীজিকে আমাদের ধন্যবাদ। এই খুশিতেই আমরা মোদীজিকে মিষ্টি খাওয়ালাম।”

রেশমা বিবি জানান, “তিন তালাক নিয়ে আমাদের খুব সমস্যা হত। স্বাধীনতার পর এই তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ হয়ে যাওয়ায় মোদীজী আমাদের খুশি করেছেন। সেই খুশিতে আমরা আজ মোদীজিকে মিষ্টি খাওয়ালাম। মোদীজিকে ধন্যবাদ।”