আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরতে এসে রহস্যজনকভাবে মৃত স্ত্রী, পলাতক স্বামী

লাল্টু : দিন কয়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের ফরিদপুর থানার অন্তর্গত গৌরবাজারের তাঁতিপাড়ার নিতা দাসের সাথে একই এলাকার মিলন ডোমের। তারপর তারা দুজনে রবিবার বেড়াতে আসেন তাদের আত্মীয় দুবরাজপুরের হেতমপুরের শুভেন ডোমের বাড়িতে। এরপর সোমবার ভোর বেলায় হঠাৎ দেখা যায় মিলন ডোম পলাতক আর তার স্ত্রী নিতা দাসের দেহ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তৎক্ষণাৎ দুবরাজপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি দিনকয়েক আগেই বিয়ে করেন। তারপর তারা রবিবার বীরভূমের দুবরাজপুর হেতমপুরের শুভেন ডোমের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুভেন ডোম ওই এলাকার ভবানী চট্টরাজ নামে এক ব্যক্তির কেয়ারটেকারের কাজ করেন এবং সেখানেই একটি খড়ের দোতলা বাড়িতে থাকেন। সেই বাড়িতেই উপরতলায় আত্মীয় দম্পতিকে রাতে থাকতে দেওয়া হয় এবং নিচের তলায় শুভেন ও তার স্ত্রী ছিলেন। এরপর হঠাৎ ভোররাতে শুভেন ঘুম থেকে উঠলে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি আত্মীয় মিলনকে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়া যাওয়ায় বাড়ির দোতলায় গিয়ে দেখেন মিলন ডোম নেই এবং তার স্ত্রীর দেহ রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই নবদম্পতির মধ্যে গতকাল রাতে কোন রকম অশান্তি হয় এবং তারপর হয়তো মিলন তার স্ত্রীকে খুন করে চম্পট দেয়। পুলিশেরও প্রাথমিক অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তবে কেন এবং কেনই বা এইভাবে আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরতে এসে এমন ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে দুবরাজপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে শুভেন ডোম, তার বাবা এবং তার স্ত্রীকে।