রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের দুর্দিনে এক কপ্টারে মোদি-মমতা-ধনখর

নিজস্ব প্রতিবেদন : বুধবার প্রবল শক্তি নিয়ে রাজ্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আমফান। কলকাতার উপর প্রায় ৪ ঘন্টা দাপট দেখিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে রাজ্য বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর। কোটি কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি রাজ্যজুড়ে। রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিস্থিতি সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্লেষণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে এই ক্ষয়ক্ষতির পরেই বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ট্যুইট করেন। লেখেন, “ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের অনেক ছবি দেখলাম। এই সময়টা খুব কঠিন সময়। সারা দেশ বাংলাকে সংহতি জানাচ্ছে। রাজ্যের মানুষদের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছি। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা যায়।”

পাশাপাশি আরও একটি ট্যুইট করে লেখেন, “প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে কেন্দ্র সরকার। বিপর্যস্ত এলাকায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স কাজ করছে।”

এরপর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতেই জানা যায় প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় রাজ্যে আসছেন।

আর সূচি মত শুক্রবার রাজ্যে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্দরে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। এরপর আকাশপথে প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী ও দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন। তারপর প্রশাসনিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসে পৌঁছান বসিরহাট প্রশাসনিক ভবনে।এখানে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওড়িশা পৌঁছাবেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজারহাট, গোসাবা, মিনাখা, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ সহ রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন কপ্টারে করে।