মঙ্গলে ল্যান্ডিংয়ের শেষ মুহূর্তের ভিডিও, ‘আগে কখনো দেখেননি’ দাবি বিজ্ঞানীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুদিন আগেই মঙ্গলের মাটিতে সুষ্ঠুভাবে অবতরণ করেছে নাসার ‘পার্সিভারেন্স’। কিন্তু কীভাবে অবতরণ করলো, তা বিজ্ঞানীরা জানলেও সাধারণ মানুষদের কাছে তা বেশ কৌতূহলের। আর এই কৌতূহল মেটাতে যদি চোখের সামনে কোন ভিডিও চলে আসে তাহলে তো আর বলার কিছু নেই। মানুষের কৌতূহল মেটাতে এমনটাই করেছেন এক বিজ্ঞানী। নাসার এই মঙ্গল যান ল্যান্ডিংয়ের শেষ মুহূর্তের একটি ভিডিও তিনি পোস্ট করেছেন এবং তাতে দাবি করেছেন, ‘আগে কখনো দেখেননি’।

মহাকাশযান অবতরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিজ্ঞানীদের কাছে আতঙ্ক শেষ কিছু মুহূর্ত। কারণ ভিন গ্রহে অবতরণের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তের গতি, প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই তাদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। যে ঘটনা আমরা দেখেছিলাম ভারতের চন্দ্রযান ২ এর ক্ষেত্রে। সবকিছু ঠিকঠাক থেকেও শেষ মুহূর্তে সামান্য গন্ডগোলের জন্য সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যার ফলে বিফলে যায় গোটা কর্মসূচি।

তবে নাসার এই মঙ্গলযান কিভাবে অবতরণ করলো সেই ভিডিও এক বিজ্ঞানী জনসম্মুখে আনার সাথে সাথে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ঢোকার সাথে সাথে এই ভিডিওর শুরু। যে সময় যানের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মাইল। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের প্রবেশ করার সাথে সাথেই ওই মঙ্গল যান থেকে বেরিয়ে এলো বিশালাকার একটি প্যারাসুট।

এর পরেই গতি নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চালাতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে চুপ করে সমস্ত কিছু মনিটর করা শুরু হয়। নাসার ল্যান্ডারের পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার ‘পার্সিভারেন্স’। আর সে মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার জন্য ছুটে চলেছে। আর তার গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। কারণ গতি বেশি থাকলে মাটির স্পর্শ করার সাথে সাথেই সে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।

[aaroporuntag]
পার্সিভারেন্স যখন মঙ্গলের মাটি থেকে ১১ কিলোমিটার উঁচুতে তখন সে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করে। গতিবেগ দাঁড়ায় সেকেন্ডে ৩ মিটার। আর এর পরেই যখন দেখা যায় মঙ্গলে ধুলো উড়ছে তখন বোঝা গেল মাটির নিকটে চলে এসেছে সে। আর এই ল্যান্ডিংয়ের মুহূর্তে গতির সাথে তীব্র হওয়া মঙ্গলের মাটিতে ঝড় উঠেছে। সেই মুহূর্তের শব্দ রেকর্ডিং করে পাঠিয়েছে রোভারের সাথে থাকা মাইক্রোফোন। এর পরেই রোভার বিজ্ঞানীদের সংকেত দিয়ে ঘোষণা করে সঠিকভাবে ল্যান্ডিং হয়েছে।