পর্যটক টানতে নয়া ব্যবস্থা বিষ্ণুপুর, অযোধ্যায়, লাভই লাভ ঘুরতে আসাদের

নিজস্ব প্রতিবেদন : পর্যটন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা দিন দিন উন্নত হচ্ছে। পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও সাজিয়ে গুছিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তরকে। কখনো নতুন নতুন বাস, আবার কখনো নতুন পর্যটন কেন্দ্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পর্যটন দপ্তর।

এরই মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করলো পর্যটন দপ্তর। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ছাড়াও পুরুলিয়ার অযোধ্যাকে নিয়েও আলাদাভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রে এসে কেবলমাত্র ঘোরাফেরা নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন জিনিস সম্পর্কে জানার জন্য আকুল আগ্রহ হয়ে থাকতে দেখা যায় পর্যটকদের। তবে পর্যাপ্ত গাইডের অভাবে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করেই নিজেদের ট্যুর শেষ করতে হয় আগতদের।

এমন পরিস্থিতিতে বিষ্ণুপুরে ৫৩ জন টুরিস্ট গাইড নিয়োগ করা হবে উৎকর্ষ বাংলার হাত ধরে। দুটি ব্যাচে ৫৩ জন যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করা হচ্ছে এবং এই নিয়োগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাদের হাতে শংসাপত্র এবং আইডেন্টিটি কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। গাইড হিসেবে নিযুক্ত হওয়া যুবক যুবতীদের স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের খুঁটিনাটি ইতিহাস যাতে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন বন্দোবস্ত, যে বন্দোবস্ত আগত পর্যটকদের অবাক করার পাশাপাশি তাদের চাহিদা পূরণ করবে। অযোধ্যা যাওয়ার পথে রাস্তায় সামান্য জিরিয়ে নিয়ে আখের রস খাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এলাকার চাষীরা। সিরকাবাদের আখ চাষীদের একাংশ এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং এই পদক্ষেপের মধ্যেও রয়েছে চমক।

আখের রস খেয়ে যাতে ভালোভাবে তৃপ্তি পেতে পারেন তার জন্য পর্যটকরা চাইলে আখের ক্ষেত থেকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী আখ বেছে নিয়ে সেই রস পান করতে পারবেন। এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আখের ক্ষেতের পাশেই ঠেলা নিয়ে আখের রস বিক্রি করা শুরু করেছেন তারা।