নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদা টাউন হাওড়া ভায়া রামপুরহাট স্টেশন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের নতুন রূপ দেখে হতবাক যাত্রীরা নিজেই। ট্রেনে সাধারণ কামরায় উঠে এক যাত্রীর প্রশ্ন, “এটা কি সাধারণ কামরা?” সঙ্গে সঙ্গে সহযাত্রীদের থেকে উত্তর আসে, “হ্যাঁ, সাধারণ কামরা।” হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন প্রশ্ন করা ঐ রেল যাত্রী।
যাত্রীদের কথায়, ভোল বদলে গেছে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের। ঝাঁ চকচকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সাধারন কামড়াও দেখে মনে হচ্ছে বাতানুকূল কামরা। আর এই ভুল বদল দেখে অনেক যাত্রীই ট্রেনে উঠে থমকে যাচ্ছেন।
ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের বেশিরভাগ যাত্রীদের দাবি, ৪ মাস আগে পর্যন্ত এই ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের জানালা ছিল ভাঙাচোরা, আসন গুলি ছিল বসার অযোগ্য, শৌচাগারের কলও ভাঙাচোরা। এমনকি বৈদ্যুতিক ট্রেন গুলির অধিকাংশই থাকতো অকেজো। পাশাপাশি ছিল ট্রেনের নোংরা অবস্থা।
ট্রেন যাত্রীদের দাবি, সকাল সকাল জেলা থেকে কলকাতা পৌঁছানোর জন্য এই ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। কিন্তু পরিছন্নতা এবং পরিকাঠামোর অভাবে ট্রেনে চাপা দায় হয়ে পরেছিল সাধারণ যাত্রীদের।
তার পরেই হঠাৎ পুরো ট্রেনের ভোল বদল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির মোট ১৮ টি কামরার মধ্যে ২টি বাতানুকূল, ৩ টি সংরক্ষিত এবং বাকি ১১ টি কামরা অসংরক্ষিত। হাওড়া ডিভিশনের আওতায় এক দশক আগে শুরু হওয়া এই ট্রেনের ভুল বদলে উদ্যোগী হয় রেল কর্তৃপক্ষ তিন মাস আগে। তারপরেই ট্রেনের একগুচ্ছ পরিবর্তন।
ট্রেনের মধ্যে ব্যাগ পত্র রাখার সেডটি লোহার পরিবর্তে করা হয়েছে ফাইবারের। বদলে ফেলা হয়েছে জানালা-দরজা, বসার আসনগুলিও। প্রতিটি আসনের সঙ্গে ব্যবস্থা করা হয়েছে টেবিল এবং পানীয় জলের বোতল রাখার ব্যবস্থা। আধুনিক মানের করা হয়েছে শৌচাগারগুলি, নজর দেওয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার দিকেও। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যতার কথা মাথায় রেখে নবরূপে ট্রেনটিকে সাজানো হয়েছে শতাব্দি এক্সপ্রেসের মত।