এয়ারপোর্টে চেকিংয়ের সময় মোবাইল ল্যাপটপ বের করার দিন শেষ, এসে গেল নয়া প্রযুক্তি

এবার থেকে এয়ারপোর্টে চেকিং-এর সময় ব্যবহার হতে চলেছে উন্নত টেকনোলজির স্ক্যানার। ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে, ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে কম্পিউটার টোমোগ্রাফি টেকনোলজি যাতে ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে আপাতত সুপারিশের পর্যায়েই আটকে আছে বিষয়টি। চেকিংয়ের সময় নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারলে কাজ অনেক সহজ হয়ে আসবে। স্ক্যানারের মধ্যেই খুঁটিয়ে দেখা যাবে ব্যাগের সমস্ত জিনিসপত্র। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিও অনায়াসে স্ক্যান হয়ে যাবে।

আমেরিকা ও ইউরোপের মত দেশগুলি তাদের বিমানবন্দরে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বহুদিন ধরেই। এর সাহায্যে কাজ সহজ তো হয়ই একই সাথে যাত্রী ও বিমানবন্দরের কর্মীদের সময় অপচয়ও কম হয়। তবে সূত্র মারফত জানা গেছে যে, আপাতত ভারতবর্ষের মাত্র চারটি বিমানবন্দরে এই নতুন প্রযুক্তি চালু করা হবে। যথা দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদের বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে এই থ্রি ডি স্ক্যানার বসানো হবে।

তারপর ধীরে ধীরে অন্যান্য বিমানবন্দরে এই থ্রি ডি স্ক্যানার বসানো হবে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এক মাসের মধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তারপর যতো শীঘ্র সম্ভব নতুন স্ক্যানার বসানোর কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। সকল বিমানযাত্রীদের কম সময়ে নিরাপদ পরিষেবা দেবার জন্যই এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছে মন্ত্রক।

বিসিএস অর্থাৎ ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের আধিকারিক জয়দীপ প্রসাদ জানিয়েছেন যে, “বর্তমানে বিমানবন্দরগুলিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তল্লাশি চালানো হয়, তাতে টু-ডাইমেনশনে জিনিসপত্র দেখা যায়। কিন্তু নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে থ্রি-ডি অবস্থায় ব্যাগের মধ্যের জিনিসপত্র দেখা যাবে। তার ফলে স্ক্যানারে দেওয়ার আগে বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র বের করতে হবে না যাত্রীদের।”

এই খবর প্রকাশ্যে আসায় যাত্রীরা ভীষণ খুশি। তাদের বক্তব্য, কোথাও যাবার সময় বিমান ধরার তাড়া থাকে ভীষণ। তার মধ্যেই বিমানবন্দরের এই তল্লাশির চাপে তাদের নাজেহাল হতে হয়। আর এর থেকে অবশেষে মুক্তি মিলবে তাদের। সেই সঙ্গে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো জিনিসপত্র বের করে আর দেখাতে হবে না। ফলে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পুনরায় প্যাকিং করার ভোগান্তির মধ্যেও আর পরতে হবে না।