যোগ হয়েছে আরও যেসব নতুন উপসর্গ, ঝুঁকি কমাতে দ্রুত পরীক্ষার দাওয়াই

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাস সংক্রামিত রোগীদের প্রধান যে উপসর্গগুলি এতদিন জানা যাচ্ছিল তা হল জ্বর ও বিরামহীন শুকনো কাশি। শরীরের তাপমাত্রা যদি ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্ৰির মতো হয় তাহলে ধরা হচ্ছিল সেই ব্যক্তি করোনা জ্বরে সংক্রামিত। শরীর গরম হওয়া, শীত লাগা ও শরীরে কাঁপন ধরার উপসর্গ দেখা দিচ্ছিল। সেই সঙ্গে বিরামহীন শ্লেষা ছাড়া কাশি। এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাশি, বুকে চাপ অনুভব করা ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা দেখা যাচ্ছিল করোনা সংক্রামিত রোগীদের।

এসবের সঙ্গে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো নতুন নতুন উপসর্গ ধরা পড়ছে চিকিৎসায়। গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া, গন্ধ না পাওয়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া এইসব উপসর্গগুলি প্রকাশ পাচ্ছে গড়ে পাঁচ সাত দিনের মধ্যেই। কিন্তু চিকিৎসকদের দুঃশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে এই উপসর্গগুলির প্রকাশ আরও বেশি সময় পরে দেখা মেলার সম্ভবনা থাকায়। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হলে সাধারণত ১৪ দিনের মধ্যেই উপসর্গ দেখা দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু জানাচ্ছে, বিশ্বজুড়েই দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রামিত রোগীদের এই নতুন নতুন উপসর্গগুলি। এইসব উপসর্গগুলি দেখা গেল দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্র গিয়ে পরীক্ষার দাওয়াই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শ্বাসকষ্ট বেশি দেখা দিলে প্রয়োজন হয় অক্সিজেন, ফেসমাস্ক ও ভেন্টিলেশনের। কিন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নেই এইসব উপকরণগুলি। ফলে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই উপসর্গ সম্বন্ধে সন্দেহ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে।

প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। বারবার রূপ বদলাচ্ছে করনো ভাইরাস। এখনও এই ভাইরাসের পুরো গতিবিধি বোঝা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন আরও নতুন নতুন উপসর্গ ধরা পড়বে সামনের দিনে। তবে এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় একপ্রকার উপকারই হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।