সংকটের আবহে স্বস্তির খবর, করোনা মুক্ত হলো নিউজিল্যান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদন : কোভিড ১৯-এর থাবা, বিশ্বজুড়ে সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি, অনবরত কাজ করতে থাকা মৃত্যুর ভীতি, এতসবের মধ্যে একটি সুখবর বিশ্বের কাছে। নিউজিল্যান্ডে করোনা মুক্তি ঘটেছে। এই দেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন বলেন, এই দেশে
কমিউনিটি ট্রান্সমিশন সম্পূর্ণরূপে রুখে দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। সংক্রামিত মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। যে কয়েকজন মানুষ এখনও অসুস্থ আছেন তারাও অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন।

দীর্ঘদিন ধরে সেখানে লকডাউন চলছিল। এবার সেখানকার সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যে ধীরে ধীরে তারা লকডাউনকে শিথিল করবে।
সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এবার থেকে এই দেশে আবার সরকারি কাজকর্ম শুরু করা হবে। যদিও সবটাই করতে হবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই। এখনও‌ সাধারণ নাগরিকদের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই চলতে হবে।

সত্যি এই খবর যথেষ্ট আনন্দের। ইতালি, আমেরিকার মত বড় বড় দেশ যেখানে করোনায় বিপর্যস্ত, সেখানে কোন পথে হলো করোনা মুক্তি নিউজিল্যান্ডে?

মার্চ মাসের শেষ দিকে অনান্য দেশের মতোই নোভেল করোনা তার মারণ থাবা বসায়‌ নিউজিল্যান্ডেও। ওই দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ খবর পাওয়ার পর থেকেই সরকার ও প্রশাসন সাবধানতা অবলম্বন করে। সকল পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সিল করা হয়েছিলো বর্ডারও। আর তার সাথে চলছিলো‌ টেস্ট টেস্ট আর টেস্ট। আর সন্দেহভাজন সকলকেই রাখা হয়েছিলো কোয়ারেন্টাইনে। সংক্রামিতদের জন্য ছিলো আইসোলেশনের ব্যবস্থা। কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলো সে দেশের সরকার। তাই সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। অনান্য‌ দেশে যেখানে করোনায় মৃত্যু কয়েক হাজার পেরিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডে সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯-এর পর আর বাড়ে নি। ফলস্বরূপ এখানে সংক্রামিতদের সংখ্যা ১৪২৭ জন। অনান্য দেশের তুলনায় যা খুবই কম। আর সর্বোপরি সে দেশে লকডাউনকে সম্পূর্ণভাবে সফল করতে সক্ষম হয়েছিলো জেসিন্ডার নেতৃত্বাধীন সরকার।

সেখানকার সরকার ও প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী ও সকল সাধারণ নাগরিকদের যৌথ প্রচেষ্টার ফলে আজ করোনা সেখানে হেরে গেছে। জিতে গেছে মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস। তাই আমাদের ও উচিত লকডাউন সফল করতে সর্বতোভাবে সরকার ও প্রশাসনকে সহায়তা করা।