সিভিক-গ্রিন পুলিশ তো নয়ই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাশও কমিশনের হাতেই

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত নির্বাচনগুলির দিকে তাকালে দেখা যাবে বিরোধীরা বারংবার অভিযোগ করেন ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। বিরোধীদের দাবি, ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্র বাহিনীকে কিভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়েই নানান প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে।

আর যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে রাজ্যে ঠিক সে সময়ে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রাজ্যের কোন বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সিভিক ভলেন্টিয়ার অথবা গ্রিন পুলিশ কাউকেই ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল আরোরা।

বাংলায় একুশের নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে বুধবার রাজ্যে এসেছেন নির্বাচন কমিশনের ৭ সদস্যের ফুলবেঞ্চ। সেই দলেই রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সুনীল আরোরা। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের এই ফুলবেঞ্চ জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সাথে একটি বৈঠক করেন। আর এই বৈঠকেই জেলাশাসক এবং পুলিশ আধিকারিকদের থেকে নানান প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়।

পাশাপাশি এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যেসকল জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। রাজ্যে মোট জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা সংখ্যা ৫০ হাজার, যার মধ্যে কার্যকর হয়েছে ১০ হাজার। যে সকল জেলাগুলি স্পর্শকাতর সেগুলিকে এখন থেকেই চিহ্নিতকরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।