নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে দিন কয়েক আগে থেকেই তৈরি হয় বিতর্ক। এই বিতর্কে সূত্রপাত আইসিএমআর প্রদত্ত একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে। যে চিঠিতে বারংবার উল্লেখ করা হয় ১৫ই আগস্টের প্রসঙ্গ। এরপর এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কিভাবে এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন আনা সম্ভবপর হবে। ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক আর জলঘোলা হওয়ার পর অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ভ্যাকসিন কবে আসতে পারে তা সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।
সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎ দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আইসিএমআর-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র সরকার যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে দ্রুত ভ্যাকসিন আনার চেষ্টা চালালেও ক্লিনিক্যাল টেস্টের ক্ষেত্রে কোন রকম আপস করা হবে না। ভ্যাকসিনের বিষয়ে দুটি সংস্থাকে ক্লিনিক্যাল টেস্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর ওই দুটি সংস্থা সমস্ত রকম নিয়ম মেনে ক্লিনিক্যাল টেস্টের পর্যায় শুরু করেছে।
কবে এই ভ্যাকসিন আসতে পারে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, “করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে অবশ্যই সময় লাগবে। তবে এই ভ্যাকসিন কোন মাসের কোন তারিখে পাওয়া সম্ভব তা বলা সম্ভব নয়। ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে কয়েক মাস থেকে এক বছরও সময় লেগে যেতে পারে।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, “ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কথা বলেছি, যাতে করে ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষেত্রে আরও গতি আনা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে সব রকম পদ্ধতি মেনেই যাতে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় সে বিষয়ে সরকার যেন সংস্থাগুলিকে সাহায্য করে বা সাহায্য করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ২০০টি ভ্যাকসিন তৈরীর প্রচেষ্টায় রয়েছে।”
এদিকে গতকাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় প্যানেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের আগে ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের প্রথম দিকে ভ্যাকসিন আনা সম্ভব হতে পারে। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং জানালেন ভ্যাকসিন তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে না। সুতরাং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংসদীয় প্যানেলের সদস্যদের মন্তব্য থেকে এটুকু বোঝা যায় এত দ্রুত ২৫ই আগস্টের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিন আনা হয়তো সম্ভব নয়, এমনই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।