বিদ্যুৎ দপ্তরের ভুল! মাশুল দিচ্ছে আশ্রমের খুদে পড়ুয়ারা

অমরনাথ দত্ত : বিদ্যুৎ দপ্তরের ভুল বিলের মাশুল দিতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় আদিবাসী পড়ুয়াদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে মোমবাতির আলোতেই। অসহায় হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা।

ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার অন্তর্গত রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুর গ্রামের বিবেকানন্দ সোসাইটি আশ্রমে। ৪-৫ বছর ধরে চলছে এই আশ্রম, এখনো পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোন সাহায্য পাওয়া যায় না। ১২০ জন আদিবাসী দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখানেই পড়াশোনা করে। বিভিন্ন জনের দানে চলে এই আশ্রম। তবে সমস্যা আরও বড়, আশ্রমে থাকা বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে।

যে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে আশ্রমে তাতে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ৬০০০ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসতো। কিন্তু এবার তা এক লাফে হয়ে পড়েছে ১৮০০০ টাকা। দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

আশ্রম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, “প্রতিবার আমাদের বিদ্যুতের বিল আসে ৬০০০ টাকা। কিন্তু এবার হঠাৎ করে তা ১৮০০০ টাকা হয়ে যায়। বিদ্যুতের দেখতে আসার সময় বিল দেয়নি। পরে মোবাইলে মেসেজ আছে আর অফিস থেকে প্রিন্ট আউট দেওয়া হয়।” বিদ্যুৎ দপ্তরের দাবি, যা বিল এসেছে তাই দিতে হবে কিছু করা যাবে না।

কিন্তু হঠাৎই ১৮০০০ টাকা কোথা থেকে আসবে। সকলের দানে চলে এই আশ্রম। আশ্রমের কাছে সেই অর্থ না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দপ্তর। বিদ্যুৎ না থাকার ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই মোমবাতি আলো জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে এই আদিবাসী দুঃস্থ পরিবারের।