আরও এক চিন্তা দূর হল স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হোল্ডারদের, নয়া ঘোষণা রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করেছেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে লাগবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।’ এই মন্তব্য ঘিরে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নানান ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ এখনও অনেকের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হয়নি, সেক্ষেত্রে তারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাবেন কিভাবে? কারোর স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে থাকা টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর কি তিনি আর চিকিৎসা পাবেন না?

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বেশ কিছু ধোঁয়াশা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে গেলেও সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে রোগীদের।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সরকারি হাসপাতালে ক্ষেত্রে জরুরি। ধীরে ধীরে সেই পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে। তবে এমনটা নয় যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না থাকলে চিকিৎসা হবে না।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে বরাদ্দ টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পরেও চিকিৎসা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।”

স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কথা অনুযায়ী, সরকার দেখে নিতে চাইছে প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পৌঁছে গিয়েছে কিনা। তিনি এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে বহু রোগী ভর্তি হচ্ছেন অথচ তাদের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এই যে এত লোকের কার্ড তৈরি হলো তাহলে কি সেগুলি ভুয়ো। মানুষ কি কার্ড পেল না!”

এর পাশাপাশি তিনি চিকিৎসকদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “বহু চিকিৎসককে দেখা যাচ্ছে তারা হাসপাতলে অপারেশন করছেন না অথচ বাইরে প্রচুর অপারেশন করছেন। এখানে সরকারি হাসপাতালে চাকরির বেতন নিয়ে পরিষেবা না দেওয়াটা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। দু’জায়গাতেই কাজ করুন কিন্তু সমানভাবে করুন।”

অন্যদিকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসা করানোর। এমন রোগী ঘোরানোর ঘটনায় রাশ টানতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পাঁচটি নম্বর চালু করা হয়েছে। 18003455384, 9073313211, 9513108383, 8334902900 ও 9830164268, এইসকল নম্বরগুলিতে এমন ঘটনার সম্মুখীন হলে অভিযোগ জানানো যাবে।