‘বিয়েই করিনি, সহবাস করতাম’, নিখিলের সম্পর্ক নিয়ে ঝেড়ে কাশলেন নুসরত

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই নুসরত নিখিলের সম্পর্ক নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল পাশাপাশি অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সাথে নুসরতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে একটি জল্পনার কথাও শোনা গিয়েছিলো তবে নুসরতের সন্তান সম্ভাবনার খবর জানাজানি হতেই আগুনে ঘি পরার মত নিখিল নুসরতের সম্পর্কের টানাপোড়েন যেন আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এলো। সম্প্রতি নুসরত জাহান প্রকাশ্যে জানিয়েছেন যে, ‘নিখিলের সাথে তার কোন বিয়েই হয়নি। সহবাস করতাম। তাই বিচ্ছেদের কোন প্রশ্নই ওঠে না’। স্বাভাবিকভাবেই অভিনেত্রী তথা সংসদের এই দাবি নিয়ে রীতিমতো শোরগোলের সৃষ্টি হয়েছে।

তুরস্কে গিয়ে জাঁকজমক করে নিখিল জৈন ও নুসরত জাহানের বিয়ের পর কলকাতার আইটিসি হোটেলে তাদের বিয়ের রিসেপশন পার্টিও হয়েছিলো ধুমধাম করে। এরপর সাংসদ হওয়ার পর প্রকাশ্যে নিজের নাম নুসরত জাহান রুহি জৈন বলে শপথ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সুরুচি সংঘের দুর্গা মন্ডপে একসাথে আরতি করেন তারা। বিয়ের পর নুসরত আর নিখিল একসাথেই থাকছিলেন, তবে তাদের একসাথে থাকার সময়টা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

এক বছর যেতে না যেতেই নুসরত নিখিলকে ছেড়ে আলাদা ফ্ল্যাটে এসে ওঠেন এবং তারপর দুজনের সম্পর্ক নিয়ে নানান রকম গুঞ্জন শোনা যায়। সম্প্রতি নুসরতের সন্তান সম্ভাবনার খবর পাওয়ার পর নিখিল বলেছিলেন যে এই সন্তানের বাবা তিনি নন, এই খবর নিয়েও রীতিমতো হইচই পড়ে ছিল। তবে নুসরতের বক্তব্যটির সবকিছু্র‌ উর্ধ্বে।

সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে বুধবার নুসরত জানান যে, তিনি নিখিল জৈনের সঙ্গে সহবাস করতেন তাই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রশ্ন‌ই ওঠে না। নুসরতের কথায়, “তুরস্কের বিবাহ আইন অনুযায়ী এটা অবৈধ। হিন্দু মুসলিম বিবাহের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়নি ফলে এটা আইনত সিদ্ধ নয়। নুসরত জাহান বলেন, নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ ইন সম্পর্কে ছিলাম এটা বিয়েই নয়। সুতরাং বিচ্ছেদের প্রশ্ন ওঠেনা।”

এর পাশাপাশি এদিন অভিনেত্রী নিখিলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ‌ও আনেন। তার যাবতীয় গয়না, ব্যাঙ্কের নথিপত্র, জামাকাপড় নিখিলের কাছে রয়ে গেছে বলেই দাবি করেন। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার যাবতীয় ব্যাঙ্কের নথিপত্র নিখিলের কাছেই ছিল এবং আলাদা হয়ে যাওয়ার পর‌ও নিখিল সেগুলি ব্যবহার করেছেন বলে এদিন দাবি করেন অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার নিখিল যখন দেওয়ানি কোর্টে গিয়েছিলেন নুসরতের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বাতিল করতে তখন তার‌ও বক্তব্য ছিল যে, স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়নি তাই এই বিয়ে অ্যানালমেন্টের মাধ্যমে নাল এন্ড ভয়েড হতে পারে। কিন্তু বুধবার অভিনেত্রী নুসরত সরাসরি বৈবাহিক সম্পর্ককেই অস্বীকার করলেন ও নিখিলকে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন।

নিখিলের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি ছিল, নুসরত বর্তমানে যে ফ্ল্যাটে থাকেন তাতে ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন নিখিল। এমনকি নুসরতের বোনের বিদেশে পড়াশুনার যাবতীয় দায়িত্ব বহন করা থেকে শুরু করে নুসরতের ব্যবহৃত ফোর্ড গাড়িটি পর্যন্ত নিখিলের বলে দাবি করেছেন নিখিল ঘনিষ্ঠরা। এই প্রসঙ্গে নিখিল অবশ্য বলেছিলেন, নুসরত তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তিনি সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। তবে বুধবার এই সমস্ত দাবিকে অস্বীকার করে নুসরত বলেন, বড়লোক হিসেবে যার কথা বলা হচ্ছে তিনিই (নিখিলের নাম না করে) নুসরতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে না জানিয়ে টাকা তুলেছেন। প্রয়োজনে সেই প্রমাণপত্র প্রকাশ্যে আনবেন বলে দাবি করেন নুসরত।

এর পাশাপাশি অভিনেত্রী আরও বলেন, তার নিজের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব তার নিজের। এখন যিনি নিজেকে সাধারণ বলে দাবি করছেন তিনি আসলে নুসরতের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।