নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শনিবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমির পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০ টায়। রায়দান পর্বের শুরুতেই শীর্ষ আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দাবিকে স্বীকৃতি দিল। যদিও এএসআইয়ের তরফ থেকে এমন কোনো দাবি করা হয় নি যে মন্দির ভেঙেই মসজিদ করা হয়েছিল। তবে আদালতের এই দাবি, রাম জন্মভূমিকেই আরো বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে অযোধ্যায়।
Supreme Court: There is evidence that Ram Chabutra, Sita Rasoi was worshipped by the Hindus before the British came. Evidence in the records shows that Hindus were in the possession of outer court of the disputed land. #AyodhyaJudgment https://t.co/7o15aF4PkA
— ANI (@ANI) November 9, 2019
রায় ঘোষণা শুরু হওয়ার পর শুরুতেই শীর্ষ আদালত মুসলিমদের সিয়াবোর্ড এবং হিন্দুদের নির্মোহী বোর্ডের আবেদন খারিজ করে। এরপরই আদালতে তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় বিতর্কিত ওই জায়গায় মসজিদ বাবর বানাইনি, বানিয়েছে বীর বাঁকি।
Supreme Court orders that Central Govt within 3-4 months formulate scheme for setting up of trust and hand over the disputed site to it for construction of temple at the site and a suitable alternative plot of land measuring 5 acres at Ayodhya will be given to Sunni Wakf Board. pic.twitter.com/VgkYe1oUuN
— ANI (@ANI) November 9, 2019
আজও প্রায় আধ ঘন্টা ধরে দু’পক্ষের সওয়াল ও দাবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি। শেষমেশ তাঁর রায়ে বলেন, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির মালিকানা আপাতত যাবে সরকারের হাতে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার তিন মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট বা অছি পরিষদ গঠন করে সেই জমির মালিকানা তাদের হাতে তুলে দেবে সেই জমি। সেই সঙ্গেই অযোধ্যায় বিতর্কিত জমির থেকে দূরে মসজিদ নির্মাণের জন্য আলাদা করে পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।
Vishnu Shankar Jain, Hindu Mahasabha Lawyer: Supreme Court has said, 'to give 5 acres alternate land to Muslims at a prominent place in Ayodhya.' pic.twitter.com/v3he31cS6T
— ANI (@ANI) November 9, 2019
সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের আরও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আসতে আরও সময় লাগবে তা নিশ্চিত। তবে এই বিতর্কিত জমি নিয়ে আপাতত যা পরিষ্কার হয়েছে, তাতে বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে মন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।