রিয়া ছাড়াও যেসকল বলিউড তারকারা আইন ভেঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদন : মায়াবি বলিউডকে বলা হয় স্বপ্ন গড়ার কারখানা। যে কারখানায় জন্ম নেয় নতুন নতুন নক্ষত্র। খ্যাতি, স্টারডম আর বিপুল বৈভববিত্ত নিয়ে মুম্বই নগরী হয়ে উঠেছে এক বিশাল বিনোদন সাম্রাজ্য। পাল্লা দিচ্ছে সে এবার হলিউডের সঙ্গে।

আলোর ঝলকানি আর খ্যাতির রঙ মশালের নীল আলোর নীচে আছে এক অন্য বলিউড নগরী। কৃষ্ণগহ্বরের মতো গিলে নেয় সে মায়াবী নগরীর তারকাদের জীবন, তাদের খ্যাতি, বিত্ত। এই অন্ধকারে থাকা বলিউডকে শাসন করে বেআইনি টাকার ডিলার, ড্রাগ মাফিয়া, অবৈধ স্বেচ্ছাচার, স্বজনপোষণ আর হাজার সর্পিল পথ।

সেই সর্পিল পথে আটকে গিয়েছেন বলিউডের প্রথম সারির নায়ক নায়িকারাও। সন্ত্রাস, বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ধর্ষণ, ড্রাগস নেওয়া নানা মামলায় জেল খাটতে হয়েছে এই সব তারকাদের।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু বলিউডের ঢাকা থাকা অন্ধকার দরজা আবার নতুন করে খুলে দিয়েছে। ধরা পড়েছেন তাঁর লিভ ইন পার্টনার অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। অভিযোগ উঠেছে ড্রাগ ব্যবসায় সে জড়িয়ে আছেন বলিউডের প্রথমসারির অভিনেতাদের সঙ্গে। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। রিয়া ছাড়াও বিভিন্ন কারণে আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলিউডের একাধিক তারকা।

সলমন খান : বলিউডের খান মেগাস্টার সলমন জড়িয়েছিলেন ২০০২ সালে গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায়। মত্ত, বেহিসাবি জীবন কেড়ে নিয়েছিল এক পথচারীর জীবন। মামলা হয়েছিল বিরল প্রজাতির হরিণ মারার জন্য ১৯৯০ সালে। ছিলেন যোধপুর জেলে।

সঞ্জয় দত্ত : বিখ্যাত বাবা মায়ের সন্তান সঞ্জয় দত্ত মুম্বই বোমা মামলার কেসে পুনের ইয়েরবাডা জেলে ছিলেন সাড়ে তিন বছর। সঞ্জয় দত্তের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল এ. কে. ৫৬ রাইফেল ও ৯ এম. এম. পিস্তল। বোম্বায়ের কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন এই খ্যাতনামা অভিনেতা।

জন আব্রাহাম : জন আব্রাহাম ২০০৬ সালে বেপরোয়া মোটরবাইক চালিয়ে আহত করেছিলেন দুইজনকে। যার জন্য তাকে কিছু দিন জেল খাটতে হয়।

সাইনি আহূজা : সাইনি আহূজা হারিয়ে গেছেন বলিউডের নক্ষত্রমালার আকাশ থেকে। বাড়িতে কাজের মহিলাকে ধর্ষণের কারণে মুম্বইয়ের আর্থার জেলে কিছুদিন কাটাতে হয়। ফিরতে পারেননি আর বলিউডে।

ফারদিন খান : ফারদিন খান বেআইনি ড্রাগস নেওয়ার অপরাধে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পাঁচদিন জেল খাটার পর ছাড়া পান। হারিয়ে গিয়েছি বলিউডের অন্ধকার আকাশে।

সোনালি বেন্দ্রে : সোনালি বেন্দ্রে অ্যারেষ্ট হন একটি পত্রিকার কভার পেজে নিজের অশ্লীল ছবি ছেপে। যদিও বেল পেয়ে যান তাড়াতাড়ি।

অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কেল খান্না : অক্ষয় কুমার প্রকাশ্যে তাঁর প্যান্টের জিপ খোলার ইঙ্গিত করেন তাঁর স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্নাকে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের র‍্যাম্পে। এর জন্য তারা গ্রেপ্তার হন। যদিও বেল পেয়ে যান তাড়াতাড়ি।

সুনীল শেট্টি : চেক বাউন্সের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুনীল শেট্টি।

সঈফ আলি খান : সঈফ আলি খান একজনের মুখে ঘুষি মারার কারণে জেল খাটেন। কিছু সময়ের জন্য যদিও বেল পেয়ে যান তাড়াতাড়ি।

আদিত্য পাঞ্চালি : আদিত্য পাঞ্চালি বলিউডের বিতর্কিত এক অভিনেতা। তিনিও একজনকে মারার কারণে জুডিসিয়ারি কাস্টডিতে গিয়েছিলেন।

মায়াবি নগরীর নক্ষত্রদের জীবন শুধু খ্যাতি, গ্ল্যামার আর বৈভবের নয়, সে জীবন‌ সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই কভি খুশি কভি গম!