সাধারণ কামরায় আর ওঠা যাবে না এই সকল জিনিস, জানালো রেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকাল ট্রেন হোক অথবা প্যাসেঞ্জার ট্রেন। একাধিক রুটের একাধিক ট্রেনের দরজা থেকে শুরু করে আসন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায় ঝুড়ি, বালতি ইত্যাদি। এর ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হন যাত্রীরা। যাত্রীদের তরফ থেকে একাধিক বার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসল পূর্ব রেল।

মূলত ট্রেনের সাধারণ কামরায় ঝুড়ি অথবা বালতিতে ছানা ব্যবসায়ীরা ছানা নিয়ে যান। এর ফলে যেমন ছানার কড়া গন্ধে যাত্রীদের অসুবিধা হয় ঠিক তেমনি জলে জলময় হয়ে পড়ে আসন থেকে কামরার বিভিন্ন জায়গা। নিত্যদিনের এই সমস্যা লক্ষ্য করা যায় শিয়ালদহ-লালগোলা, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর শাখায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকে এই সকল রুটে সাধারণ কামরায় আর ছানা ভর্তি ঝুড়ি অথবা বালতি নিয়ে উঠতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।

ছানা ব্যবসায়ীদের এই দৌরাত্ম্য ঠেকাতে শনিবার রেল পুলিশ এবং ছানা ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। কৃষ্ণনগরের হওয়া ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ছানা ভর্তি ঝুড়ি অথবা বালতি এবার থেকে আর ট্রেনের ভেন্ডার কামরা ছাড়া অন্য কোথাও তোলা যাবে না। পাশাপাশি ভেন্ডার কামরার দরজাও বন্ধ করতে পারবেন না না ছানা ব্যবসায়ীরা।

রেল পুলিশের ডিএসপি নরেন্দ্রনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সাধারণ কামরায় ছানা ব্যবসায়ীরা ছানা ভর্তি ঝুড়ি অথবা বালতি তোলার কারণে স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারেন না অন্যান্য যাত্রীরা। কামরা গন্ধে ভরে যাওয়ার পাশাপাশি আসন এবং যত্রতত্র জল পড়ে থাকার কারণে যাত্রীদের সঙ্গে হামেশাই বাকবিতণ্ডা বেঁধে থাকে ছানা ব্যবসায়ীদের। এর পাশাপাশি ভেন্ডার কামরা ছানা ব্যবসায়ীরা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে মাঝপথে কেউ উঠতে পারেন না। দীর্ঘদিনের এই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এই নিয়ম সোমবার থেকে চালু হলো।

রিয়েল পুলিশের সঙ্গে ছানা ব্যবসায়ীদের এই বৈঠকের পর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আর বিছানা ব্যবসায়ীরা সাধারণ কামড়ালে সকল জিনিস তুলবেন না বলেই জানিয়েছেন। অন্যদিকে পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি এর পরেও কেউ নিয়ম ভেঙে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।