ঠিক কী তথ্য গোপন করার অভিযোগ মমতার বিরুদ্ধে, মনোনয়নপত্র বাতিলের দাবি বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরেই বিজেপির তরফ থেকে তথ্য গোপনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই একই অভিযোগ পুনরায় তোলা হলো ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের আগে। ভবানীপুরে উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র পেশ করার পরই তথ্য গোপনের দাবিতে মনোনয়নপত্র বাতিল করার দাবি তুললো বিজেপি।

মঙ্গলবার ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী পদ বাতিল করার দাবি তুলেছেন প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ। কিন্তু প্রশ্ন হল তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন তথ্য গোপন করেছেন মনোনয়নপত্রে?

অভিযোগপত্রে সজল ঘোষ দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। অথচ তিনি সেই সকল অভিযোগ হলফনামায় দেখান নি। আর এই অভিযোগ তুলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ বাতিল করার দাবি তুলেছেন। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরও একই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপির তরফ থেকে।

ভবানীপুর উপ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৩ সেপ্টেম্বর। তবে এর অনেক আগেই তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহের শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন। মঙ্গলবার স্ক্রুটিনি চলাকালীন তার মনোনয়নপত্রে ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

সদ্যসমাপ্ত হওয়া রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, একটি সিবিআই মামলা ও অসমের ৫টি মামলা মিলিয়ে মোট ছ’টি মামলা আছে। কিন্তু পরে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, শুভেন্দু অধিকারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই সকল মামলার অভিযোগ তুলেছেন তিনি আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। অন্য কোন মমতা। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি খারিজ করা হয়।

তবে সেই ঘটনার পর এবারও ভবানীপুরের উপ নির্বাচনের আগে একই দাবি তোলা হলো বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপির তরফ থেকে এবার দাবি তোলা হয়েছে কেবলমাত্র অসমের পাঁচটি মামলার কথা। সিবিআই এর মামলার কথা উল্লেখ করা হয়নি। সুতরাং এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেয় তার দিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল।