ঠিক এই দুটি কারণে ভারতে বাড়াবাড়ি হয়নি ওমিক্রণে

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার প্রথম ঢেউ সেইভাবে ভারতে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তবে আর্থিক দিক দিয়ে যথেষ্ট প্রভাব ছিল এর। অন্যদিকে যখন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে সেই সময় লন্ডভন্ড হয়ে যায় গোটা দেশ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে শুরু করেন এবং মৃত্যু মিছিল বইতে শুরু করে। অন্যদিকে আবার যখন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে সেই সময়ই আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেলেও তেমন ক্ষতি করতে পারেনি এই তৃতীয় ঢেউ।

তৃতীয় ঢেউয়ে সেই ভাবে ভারতে বাড়াবাড়ি হয়নি, এর পিছনে রয়েছে দুটি কারণ। সম্প্রতি দেশে এই তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় বিজ্ঞানীরা যেভাবে আশঙ্কা করেছিলেন, যেভাবে মানুষের মধ্যে ভয় ছড়িয়েছিল, সেই আশঙ্কা এবং ভয় সেভাবে প্রভাবই বিস্তার করতে পারেনি। অথচ এই ওমিক্রন আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের মতো দেশে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।

তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলেও সেই ভাবে ধরাশায়ী অবস্থা তৈরি হয় না হওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন তা সম্প্রতি সামনে এসেছে। হালে দেসের নামজাদা চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ পদ্মনাভ শেনয় একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এর পিছনে রয়েছে Hybrid immunity। আর এই Hybrid immunity তৈরির পিছনে রয়েছে দু’টি কারণ।

১) দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ মারাত্মকভাবে ডেল্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। বড় সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার কারণে খুব একটা প্রভাব পড়েনি তৃতীয় ঢেউ চলাকালীন।

২) দেশে টিকাকরণের হার খুব ভালো। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন অথবা আক্রান্ত হন নি তাদের অধিকাংশ মানুষই টিকা পেয়ে গেছেন।

Hybrid immunity হল সংক্রমণ থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি এবং টিকা থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি। এই দুই ধরনের রোগ প্রতিরোধ শক্তি মানুষের শরীরে থাকার কারণে সেই ভাবে ওমিক্রণ প্রভাব ফেলতে পারেনি ভারতে।