নিজস্ব প্রতিবেদন : সমস্ত কর্মসূচি ঠিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফর বাতিল হয়। আর এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে বিজেপির দুদিনের যে সকল কর্মসূচি রয়েছে সেগুলির কি হবে? বিশেষ করে ডুমুরজলায় যে বিজেপির যোগদান কর্মসূচি রয়েছে তার কি হবে? আর এই সকল প্রশ্নের উত্তরই পাওয়া গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখ থেকে।
শনিবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রবিবার ডুমুরজলায় যোগদান মেলা অনুষ্ঠান হবে। আসবেন কেন্দ্রের কোনও এক নেতা। তবে কে আসবেন তা আজ জানাবে দিল্লি।” এর পাশাপাশি এই বিজেপির যোগদান মেলায় তৃণমূল ছেড়ে কোন কোন নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তারও একটি সম্ভাব্য তালিকা উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। যদিও দিলীপ ঘোষের তরফ থেকে এই তালিকা নিয়ে এখনই কিছু বলা হয়নি। বরং বিজেপি নেতারা বারংবার দাবি করছেন তাদের তালিকা অনেক বড়।
কোন কেন্দ্রীয় নেতা আসতে পারেন রবিবার?
কোন কেন্দ্রীয় নেতা আসতে পারেন তার তালিকায় ভেসে আসছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অথবা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর মত কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এনিয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি। বরং তিনি জানিয়েছেন, “পরবর্তী কর্মসূচিতে অমিত শাহ মতুয়াদের সাথে দেখা করবেন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “২৩শে মে-র পর চমক থাকছে।” অন্যদিকে আজ ঠাকুরনগরে যাচ্ছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
কোন কোন তৃণমূল নেতার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা রয়েছে?
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের যে সম্ভাব্য তালিকা সামনে এসেছে তাতে মনে করা হচ্ছে ৯ জন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী, অভিনেতা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, তৃণমূল মন্ত্রী ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বিধায়ক জটু লাহিড়ী, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কোন এক নেতা।
তবে এই সকল যে নাম সামনে এসেছে তাদের মধ্যে একমাত্র বৈশালী ডালমিয়া আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তিনি বিজেপিতেই যোগদান করছেন। বাকিদের মধ্যেও কয়েকজন প্রায় নিশ্চিত হলেও তালিকায় থাকা অনেকেই কিছু খোলসা করে জানান নি। যে কারণে রবিবারের দিকেই রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা তাকিয়ে রয়েছেন।