নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে সমস্ত রকম প্রয়াস চালিয়েও করোনা সংক্রমণকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিদিন বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রাণহানির সংখ্যা ৬ লক্ষ পেরিয়ে গেছে। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভ্যাকসিন নিয়ে সুখবর দিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটি তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভ্যাকসিনের মানব দেহে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সফল৷ ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াচ্ছে৷
ইউনিভার্সিটি তরফ থেকে ট্রায়ালের বিষয়ে জানানো হয়েছে, ১ হাজার ৭৭ জনের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। আর এরপর ফলাফল হিসাবে দেখা গিয়েছে যাদের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি হচ্ছে। আর এই অ্যান্টিবডি এবং হোয়াইট ব্লাড সেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনের ১০ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তরফ থেকে সোমবার টুইট করে জানানো হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানব শরীরের সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। ভ্যাকসিনের এক ডোজেই মানব শরীরে সক্রিয় হচ্ছে টি-সেল। পাশাপাশি যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তাদের ৯০% মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
ChAdOx1 nCoV-19 নামে এই ভ্যাকসিনটি খুব দ্রুত তৈরি করেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। করোনা ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে বিশ্বের আরও নামিদামি গবেষক সংস্থা এবং গবেষকরা দৌঁড়াচ্ছেন। তাদেরও অনেক ভ্যাকসিন এই মুহূর্তে প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ অ্যান্টিবডি তৈরির দাবি করতে পারেননি। সে জায়গায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তাদের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে দাবি করা হয়েছে তা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছেই বড় সুখবর।
Oxford’s Covid-19 vaccine produces a good immune response, reveals new study.
Teams at @VaccineTrials and @OxfordVacGroup have found there were no safety concerns, and the vaccine stimulated strong immune responses: https://t.co/krqRzXMh7B pic.twitter.com/Svd3MhCXWZ— University of Oxford (@UniofOxford) July 20, 2020
বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে তা বিপদজনক নয়। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের ৭০ শতাংশের হালকা জ্বর এবং মাথা ব্যথা দেখা দিয়েছিল। তবে তা কিছুদিনের মধ্যেই সেরে যায় বলে জানা গিয়েছে।
তবে এদিন অক্সফোর্ডের তরফ থেকে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং সফলতা নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হলেও কবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে তার সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি। এখন বিশ্বের মানুষ সে দিকেই তাকিয়ে কবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে।