৫১০ জনের পর ১০০০০, শুরু হলো অক্সফোর্ডের করোনা টিকার চূড়ান্ত ট্রায়াল

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক করোনাভাইরাসই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে রেখেছে। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (টিকা) আবিষ্কার করার কাজে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা দিনরাত এক করে পরীক্ষা করছেন। করোনা ভাইরাসের যে প্রতিষেধক আবিষ্কার করা হয়েছে তার প্রাথমিক পরীক্ষায় সফলতা পাওয়া গেছে। এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা বাকি।

এপ্রিলের ২৩ তারিখ এই প্রতিষেধকটি প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। ৫১০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই প্রতিষেধক প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হয়। বলাই বাহুল্য এই প্রাথমিক পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া গেছে।‌ এই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কোনো রকম ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি প্রতিষেধক প্রয়োগের পরবর্তী ১৫ দিন। এই ১৫ দিন ওই স্বেচ্ছাসেবকদেরকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করেছিল অক্সফোর্ডের বিশেষ একটি টিম।

প্রাথমিক পর্যায়ের পর এবার ChAdOx1 nCoV-19 -ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দ্বিতীয় দফায় প্রয়োগ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই দ্বিতীয় দফায় এই প্রতিষেধকটি মানুষের শরীরে ক্ষতিকর কোনও প্রতিক্রিয়া করে কিনা তা ভালোমতো খতিয়ে দেখে নেবে পর্যবেক্ষক এই টিম। দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত দফার পরীক্ষার জন্য ১০০০০ মানুষকে বেছে নেওয়া হবে। এই ১০০০০ মানুষের উপর পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় যে সকল মানুষদের নেওয়া হয়েছিল তাদের ৫৫ বছরের কম বয়স ছিলো‌। এই দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় যে সকল মানুষদের নেওয়া হয়েছে তাদের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এছাড়া শিশুদের উপর এই পরীক্ষা করা হবে। যতদূর জানা গেছে ২ থেকে ৫ বছরের শিশুর উপর এই পরীক্ষা করা হবে। এই প্রতিষেধকটি মানুষের শরীরে প্রয়োগের পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে বাদুড়ের শরীরেও প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় দেখা যায় যে এই প্রতিষেধক ভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম এমনকি এই প্রতিষেধকটি বাদুড়ের শরীরে কোনো রকম ক্ষতি করেনি। এরপরই গবেষকরা সিদ্ধান্ত নেন যে তারা এই প্রতিষেধকটিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যবহার করবেন।

এই দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার উপরই নির্ভর করছে যে এই প্রতিষেধকটিকে বাজারে আনা হবে কিনা। বাণিজ্যিকভাবে এই প্রতিষেধক উৎপাদন ও চিকিৎসা করার বিষয়ে ছাড়পত্র পাওয়া যাবে এরপরেই। তাই এই দ্বিতীয় তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে এবং এই পরীক্ষার দিকেই তাকিয়ে আছে সকলে।