নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর (Padma Setu Rail Service) ওপর রেল পরিষেবার উদ্বোধন হলো। পদ্মা সেতুর ওপর রেল পরিষেবা চালু করে বাংলাদেশ (Bangladesh) তৈরি করল আলাদা নজির। কেননা এই পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের নিজস্ব সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশে প্রথম কোন সেতুর উদ্বোধন হয়েছে যার উপর দিয়ে ট্রেন এবং যানবাহন পাল্লা দিয়ে ছুটতে পারবে।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রথম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছিল যানবাহন চলাচলের জন্য। প্রথমবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে এবং তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে দিয়েছিলেন এই সেতুর টোল ট্যাক্স। তারপর বাকিটা পুরোটাই ইতিহাস। কেননা এই পদ্মা সেতুর টোল ট্যাক্সে দিন দিন বাংলাদেশের রাজকোষ ফুলেফেঁপে উঠেছে। আর এবারও যখন ট্রেন পরিষেবার চালু হলো তখনও সেই শেখ হাসিনার হাত দিয়েই তা হল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয় এবং উদ্বোধন হওয়ার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের মতই টিকিট কেটে ট্রেনে সাওয়ারি করেন। শেখ হাসিনা ছাড়াও এদিন এই সফরে হাজির ছিলেন তার মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রীরা। তবে এদিন পদ্মা সেতুর ওপর রেল পরিষেবার উদ্বোধন হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষদের এই পরিষেবা পেতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা এবং ভাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। এই রুটে ঢাকার গেন্ডারিয়া, কেরানীগঞ্জ হয়ে মাদারীপুর এবং ফরিদপুর পর্যন্ত ট্রেন যাবে। এই লক্ষ্য নিয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ যাতে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই রুটে যে সকল ট্রেন যাতায়াত করবে সেগুলি হল সুন্দরবন এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর সাধারণ মানুষদের পরিষেবা পেতে এখনো মোটামুটি তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। কেননা এই সকল রুটে যেসব ট্রেনগুলি যাতায়াত করবে তাদের সূচি এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। তবে যাই হোক এদিন বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর উপর রেল পরিষেবার উদ্বোধন করে নতুন নজির তৈরি করল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।