ভারতের ওষুধ না পেয়ে সমস্যায় পাকিস্তান, বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত বদল ইমরানের

নিজস্ব প্রতিবেদন : কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান ভারতের উপর একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, পাকিস্তানের তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে, আকাশ পথ ক্ষেত্রে, বন্ধ হয় দুই দেশের মৈত্রীর ট্রেন ও বাস যোগাযোগ। শুধু তাই নয়, ভারতকে আন্তর্জাতিক মহলে কোনঠাসা করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে পাকিস্তানকে, কিন্তু ফলাফল শূন্য। উপরন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে পাকিস্তান খায় ধমক। তবে পাকিস্তানের তরফ থেকে সেদেশে ভারতের জিনিসপত্র আমদানির নিষেধাজ্ঞা ধরে রাখতে পারলো না বেশিদিন।

পাকিস্তানের সর্ব প্রচারিত সংবাদমাধ্যম জিও টিভির সংবাদ অনুযায়ী, পাকিস্তানি রোগীদের বাঁচাতে ফের ইমরানকে শরণাপন্ন হতে হলো ভারতের। পাক সরকার তাদের দেশের রোগীদের বাঁচানোর জন্য জীবনদায়ী ওষুধ ভারত থেকে আমদানি করার জন্য দিয়েছে ছাড়পত্র। আর একথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রক।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে রোগীদের বাঁচানোর জন্য জীবনদায়ী ওষুধ আমদানি করা হয় ভারত থেকে। এছাড়াও সবজিও আমদানি করা হয় ভারত থেকে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক রদ হওয়ার পর এক ধাক্কায় সবজির দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে পাকিস্তানে।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান ভারতের সাথে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই সম্পর্ক ছিন্ন করে কতটা লাভবান হয়েছে পাকিস্তান তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। আর ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে মাস খানেকের মধ্যেই ইমরানের এমন সিদ্ধান্ত বদলে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন আর কতদিন নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারবেন পাক প্রধান!