FTAF-এর ব্ল্যাকলিস্টে পাকিস্তান, আরও অন্ধকারে পাকিস্তানের অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে আবার একবার পাকিস্তানের মুখ পুড়লো আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায়। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সাহায্য এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করল বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারি চালানো সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ। সন্ত্রাসবাদীদের তহবিলের যোগান বন্ধ করতে না পারার কারণে তাদের এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া লস্করকে অর্থ সাহায্য করছে পাকিস্তান। আর এরপরই অস্ট্রেলিয়ায় চলা FTAF-এর অধিবেশনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসবাদের তহবিল যোগান আটকানোর জন্য পাকিস্তানকে যে চল্লিশটি আইনে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল তার মধ্যে ৩২ টিতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও ১১ টি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে, তার মধ্যে ১০ টি তারা পূরণ করতে পারেনি।

হাফেজ সৈয়দ এবং অন্যান্য কয়েকজন জঙ্গি বড় নেতাদের গ্রেপ্তার করে ইমরান খান ভেবেছিলেন FTAF-এর নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পাবে পাকিস্তান। কিন্তু সেই ভাবনা বাস্তবে রূপান্তরিত না হয়ে ইমরানের কপালে ভাঁজ ফেলল FTAF -এর সদস্যরা।

সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তান কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, দেড় বছরে কী কী পরিবর্তন করেছে, এইসব নিয়ে গত সপ্তাহে ৪৫০ পাতার একটি রিপোর্ট পাকিস্তান পেশ করে। সেখানেই পাকিস্তান জানিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবার প্রধান সৈয়দ হাফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেই নাটক কাজে না এসে কোপে পড়তে হলো।

FATF কি?

১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক স্তরে গঠিত হয় এফটিএ। এর কাজ আর্থিক কারচুপি, জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া থেকে আটকানো। মূলত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আর্থিক দুর্নীতির উপর নজরদারি চালায় এই টাস্ক ফোর্স। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সংস্থা এ বছর জুন মাস থেকেই সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে আসছিল।

নিষেধাজ্ঞার ফলে পাকিস্তান কতটা ক্ষতির সম্মুখীন?

FATF এর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বাড়বে। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে ঋণ পেতে হলে পাকিস্তানকে এবার থেকে আরও খড়কুটো পুড়াতে হবে। এই কালো তালিকায় ফলে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরবে প্রভাব। এমনকি আন্তর্জাতিক অসহযোগিতার অভিযোগে আইএমএফ বিশ্ব ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পাকিস্তানের সাথে আন্তর্জাতিক আদান প্রদান বন্ধ করে দিতে পারে।