নিজস্ব প্রতিবেদন : আস্থা ভোটে পরাজয়ের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আউট হয়েছেন ইমরান খান। তার পর্ব সাঙ্গ হওয়ার পর এখন নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ শুরু হয়েছে। সোমবার অর্থাৎ আজ পাকিস্তানের সংসদের নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোঁজ চালানো হবে।
ইমরান খান পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বর্তমানে জিনিস সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন তিনি হলেন শাহবাজ শরীফ। শোনা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরীফই ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে পারেন। পাকিস্তানের বাইরে তিনি খুব একটা পরিচিত মুখ না হলেও দেশের অন্দরে বেশ চর্চিত ব্যক্তি এই শাহবাজ।
শাহবাজ শরীফ হলেন পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই। তার পুরো নাম হল মিয়া মহঃ শাহবাজ শরীফ। এযাবত এই নেতা পাকিস্তানের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তবে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে যখন আস্থা ভোট শুরু হয় সেই সময় লক্ষ্য করা যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪ টি। এরপরেই স্পিকার শাহবাজ শরীফকে অভিনন্দন জানান। অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম হিসেবে শাহবাজ শরীফের নাম ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তবে এরই মাঝে স্পিকারের এমন অভিনন্দন এই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে।
রাজনীতিক হিসেবে শাহবাজ শরীফের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বার দাদা প্রধানমন্ত্রী থাকার কারণে রাজনীতির সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের। এর পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি চীনের আর্থিক অনুদানের পাকিস্তানের একাধিক প্রকল্পের কাজের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত তিনি।
পাকিস্তান খাতায়-কলমে গণতান্ত্রিক দেশ হলেও বিদেশনীতি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে সেনাবাহিনী। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান সেনা শাসনের অধীনে ছিল। সুতরাং পাকিস্তানের গদি ধরে রাখতে হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি। সেই হিসাবে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক খুব একটা ভালো না থাকলেও শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক ভালো বলেই জানা যাচ্ছে।
১৯৯৯ সালে যখন পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান হয় সেই সময় শাহবাজ শরীফ পাকিস্তান ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন সৌদি আরবে। এরপর ৮ বছর দেশের বাইরে অতিক্রান্ত করার পর ২০০৭ সালে পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ২০১৭ সালে। দাদা নামাজ শরীফের পানামা পেপারস বিতর্কে নাম জড়ালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ পার্টির প্রধান হয়ে ওঠেন শাহবাজ।