পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি হয়েই বাজিমাত, বাড়ছে সম্পত্তি, কত বেতন পান ইনারা

নিজস্ব প্রতিবেদন : সামান্য একজন পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠার পরেই লাফিয়ে লাফিয়ে নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছেন অনেকেই। এমন উদাহরণের কমতি নেই। এই যেমন রামপুরহাটের বগটুই কান্ড ঘটে যাওয়ার পর কেঁচো খুঁড়তে অনেক কেউটই বেরিয়ে আসছে।

দেখা যাচ্ছে কেউ সামান্য একজন থানার গাড়ি চালক ছিলেন, আবার কেউ ছিলেন রাজমিস্ত্রি। কিন্তু পরে তারাই জনপ্রতিনিধি অথবা নেতা হয়ে বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছেন। এসবের পরেই কৌতূহল তৈরি হয়, পঞ্চায়েত জনপ্রতিনিধি হয়ে ওঠার পর ঠিক কত টাকা বেতন বা সান্মানিক পেয়ে থাকেন এই জনপ্রতিনিধিরা!

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে যে ঘোষণা করেছিলেন তা থেকে জানা যায়, জেলা পরিষদের সদস্যদের বেতন ৬ হাজার ৬০০ থেকে বেড়ে করা হবে ৯ হাজার টাকা৷ সহকারি সভাধিপতিদের বেতন ৫ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৮ হাজার টাকা৷ কর্মাধ‍্যক্ষদের বেতন ৪ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৭ হাজার টাকা৷ জেলা পরিষদের সাধারণ সদদ্যদের দেড় হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ হাজার টাকা৷

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের বেতন সাড়ে তিন হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৬ হাজার টাকা৷ সহ সভাপতিদের বেতন তিন হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ টাকা৷ কর্মাধ‍্যক্ষদের ২৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ হাজার টাকা৷ সাধারণ সদস্যদের ভাতা দেড় হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টাকা৷ গ্রামসভার প্রধানদের ভাতা ৩ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৫ হাজার টাকা৷ উপপ্রধানদের ভাতা ২ হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪ হাজার টাকা৷ উপসমিতির সঞ্চালকদের ভাতা ১ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩৮০০ টাকা৷ সাধারণ সদস্যদের ভাতা দেড় হাজার থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০০০ টাকা৷

অর্থাৎ এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কোন জনপ্রতিনিধি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি পান না। তারপরেও কিভাবে বগটুই গ্রামের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের মত জনপ্রতিনিধি অথবা আনারুল হোসেনের মত তৃণমূল নেতা কিভাবে রাতারাতি বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছেন সেটাই প্রশ্নের।

অন্যদিকে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় এই সকল জনপ্রতিনিধিরা আর হাতে গরম টাকা পাবেন না। তারা এবার থেকে তাদের এই প্রাপ্য বেতন সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাবেন।