জেলে বসেই শত শত মানুষের মুখে হাসি ফোটালেন অনুব্রত! উপচে পড়ছে প্রশংসা

লাল্টু : গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সাড়ে আট মাস ধরে জেলবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। প্রথমে আসানসোল আর এখন তার ঠাঁই হয়েছে তিহার জেলে। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তিহার জেলে রয়েছেন তার মেয়ে সুকন্যা মন্ডল (Sukanya Mondal)। বীরভূমের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা জেলবন্দী থাকলেও তার উদ্যোগেই জেলার শত শত মানুষের মুখে হাসি ফুটল।

বীরভূমের রাণীগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে পাঁচড়া ময়ূরাক্ষী কটন মিল লিমিটেড। ১৯৬৫ সালে এই মিল স্থাপিত হয়। তৈরি হতো উন্নত মানের সুতো। এই সুতো রপ্তানি হতো দেশের বিভিন্ন বস্ত্র কারখানায়। কাজ করতো বহু দক্ষ শ্রমিক। রুগ্ন দশার কারণে ১৯৯০ সালে এই সুতো মিলটি রাজ্য সরকার অধিগ্রহণ করে। কিন্তু ২০০১ সাল থেকে এই কটন মিলের অবস্থা আরও খারাপ হয়।

মেশিনপত্র সবই পুরোনো, তাই পরিকাঠামো থাকলেও এখন তেমন প্রোডাকশন নেই। এই মিলটিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে রাজ্যের নবান্ন থেকে তিন সদস্যের একটি দল এই সুতো মিল পরিদর্শন করে। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তাদের তরফ থেকে এই কটন মিল পুনর্জীবিত করার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল।

পাঁচরায় অবস্থিত এই কটন মিল নিয়ে যখন কর্মীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে সেই সময় এই কটন মিলের কর্মীদের ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় বেতন দেওয়ার ঘোষণা করা হলো রাজ্যের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের অধীনে রাজ্যের তিনটি কটন মিল কল্যাণী, রায়গঞ্জ ও ময়ূরাক্ষী কটন মিল থাকলেও ময়ূরাক্ষী কটন মিলের কর্মীরা ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় বেতন পেতেন না। তবে এবার তাদের দাবিদার পরিপ্রেক্ষিতে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় বেতন দেওয়া হবে।

বর্তমানে পাঁচরার ময়ূরাক্ষী কটন মিলে ১০৩ জন স্থায়ী কর্মী এবং ৯৪ জন মতো অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এখানে যে সকল স্থায়ী কর্মীরা রয়েছেন তারা এবার ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় বেতন পাবেন এবং এই সুখবরের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের তরফ থেকে রাজ্য সরকার এবং জেলবন্দী অনুব্রত মণ্ডলকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।