কত টাকার মালিক রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হচ্ছে নানান বিতর্ক। একাধিকবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আয় এবং আয়করের পরিমাণ জানতে চায় আয়কর দপ্তর। এরপর থেকেই শুরু হয় নানান বিতর্ক।

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই তলব করার পর যে সকল মারাত্মক তথ্য উঠে আসে তার মধ্যে একটি হলো তার পোষ্য কুকুরের নামে ফ্ল্যাট। যদিও এ সকল বিতর্কিত বিষয়, তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কত টাকার মালিক তা নিজেই জানিয়েছেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হলফনামা পেশ করার সময়।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে হলফনামা পেশ করেছিলেন তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় তার হাতে নগদ ছিল ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৭৬ টাকা। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা বিনিয়োগ, জীবন বীমা, প্রভিডেন্ট ফান্ড সবকিছু মিলিয়ে মোট টাকার পরিমাণ ৯০ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬৩.৮৪ টাকা। শুধু প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড মিলিয়ে অংক ৫০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৩৫ টাকা।

বসতবাড়ি এবং অন্যান্য জমিজমাসংক্রান্ত সম্পত্তি মিলিয়ে তিনি মোট অংকের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ২৫ লক্ষ টাকা। তবে সম্প্রতি সিপিআইএমের মুখপাত্র গণশক্তিতে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের ক্ষিরিন্দা মৌজায় ১৫ বিঘা জমির ওপর যে বিশাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল রয়েছে সেটি নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে।

ওই সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, শিল্প আনার নাম করে এই জমি নাকি কেনা হয়েছিল। প্রতি কাঠা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা এবং এক কোটি টাকা দরে এই জমি কেনা হয়। ওই এলাকার জমি কিনতে শুরু করেন নারায়ন দে নামে কোন এক ব্যক্তি। প্রায় দেড় লক্ষ বর্গফুট জায়গায় গড়ে ওঠা ওই সম্পত্তির মোট মূল্য এখন প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে।

যদিও এই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, এলাকায় উন্নত মানের ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি করে এলাকার উন্নয়ন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও বিষয়টি তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।