রাজধানী ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, পেট ভরাতে খাবার নিয়ে নয়া বন্দোবস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল বিলাসবহুল ট্রেন রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি ট্রেন হল রাজধানী এক্সপ্রেস। এই রাজধানী এক্সপ্রেস কেবলমাত্র বিলাসবহুল নয়, পাশাপাশি জরুরী ট্রেনগুলির মধ্যে অন্যতম। এই ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর ইচ্ছে অনেকেরই রয়েছে।

খরচ বেশি হলেও এই ট্রেনের হাতছানি যাত্রীদের সব সময় টানে। কখনো কখনো দেখা যায় এই ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে খরচ বিমানে যাতায়াত করার তুলনায় বেশি হয়ে দাঁড়ায়। তবে তাহলেও এই রাজধানী এক্সপ্রেসের তুলনা হয় না। এই রাজধানী এক্সপ্রেসে চা থেকে শুরু করে খাবার সবকিছুই দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই সকল খাবারের গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়।

অন্যদিকে এবার ভারতীয় রেলের তরফ থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য খাবারের বিষয়ে এমন এক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যা রীতিমতো সুখবর। আসলে ট্রেনে যাত্রীদের খুব মেপে খাবার দেওয়া হয় যাতে করে খাবার নষ্ট না হয়। কিন্তু দেখা যায় অনেক যাত্রী রয়েছেন যাদের ওই খাবারে পেট ভরে না। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ থেকে যায়।

এই সকল হতাশা ও ক্ষোভের ইতি টানতে এবার নয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। নতুন এই ব্যবস্থা অনুযায়ী যদি কোন যাত্রীর রেলের তরফ থেকে দেওয়া থালিতে পেট না ভরে তাহলে তিনি খাবার চাইতে পারেন। তিনি তার প্রয়োজনমতো খাবার চাইলে খিদে মেটানোর সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ভারতীয় রেল। এর জন্য যাত্রীদের রেলের ওয়েটারের কাছে খাবার চাইতে হবে। তবে তাহলেও সবার জন্য রেলের তরফ থেকে অতিরিক্ত খাবার দেওয়া সম্ভব নয় বলেও জানা যাচ্ছে। কারণ ট্রেনে সফর করার সময় পরিমিত খাবার রান্না করা হয়ে থাকে।

রাজধানী এক্সপ্রেসে যে সকল খাবার দেওয়া হয়ে থাকে সেগুলি হল দুটি পাও রুটি বা দুটি স্লাইসড্ রুটি, সঙ্গে থাকে মাখনের চিপলেট। এছাড়াও থাকে একটি পৃথক প্যাকেটে সেদ্ধ মটর এবং গাজরের কিছু টুকরা সহ কাটলেটের দুটি টুকরো। সঙ্গে থাকে কিছু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও। প্রাতঃরাশের মধ্যে পাওয়া যায় জুসের টেট্রা প্যাক এবং অনেকটা পরিমাণ চা বা কফি। লাঞ্চ এবং ডিনারে থাকে চারটি পাতলা রুটি বা দুটি পরোটা। একটি আলাদা প্যাকেটে ১০০ গ্রাম ভাত। সব শ্রেণিতেই এক প্যাকেট ডাল দেওয়া হয়। নিরামিষ খাবারে দেওয়া হয় পনিরের তরকারি এবং আমিষ খাবারে মুরগির ঝোল। সঙ্গে থাকে অল্প আচার এবং এক বাটি দই। খাবার শেষে আসে আইসক্রিম। শীতকালে আইসক্রিমের পরিবর্তে আসে গোলাপজাম।