করোনার জের, বাতিল ঘোষণা পাথরচাপুরীর দাতা সাহেব মেলা

হিমাদ্রি মন্ডল : করোনা ভাইরাসের জেরে বাতিল হয়েছে একের পর এক উৎসব, অনুষ্ঠান, বন্ধ হয়েছে স্কুল কলেজ, বন্ধ হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। আর এসবের পর এবার চলতি বছর বাতিল ঘোষণা হল পাথরচাপুরি দাদাসাহেব মেলা।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দফায় দফায় বৈঠক সেরেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল অর্থাৎ সোমবার নবান্নে শেষবারের জন্য জরুরি বৈঠক ডেকে তিনি এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করেন। যেসকল নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে সবরকম স্কুল কলেজ, প্রেক্ষাগৃহ, সুইমিংপুল, ভ্রমণ ইত্যাদি বন্ধ রাখার। পাশাপাশি বন্ধ করার নির্দেশ দেন যেকোনো রকম জনসমাগমপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান। আর এরপরই মঙ্গলবার বীরভূম প্রশাসনের তরফ থেকে একটি বৈঠক করা হয় আগত পাথরচাপুরি দাতা সাহেব মেলা নিয়ে। বীরভূম জেলা পরিষদের কনফারেন্স হলে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জেলাপরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ, পাথরচাপুরি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন সামস, মেলা কমিটির সদস্যরা। সেখানেই দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় করোনা ভাইরাসের জেরে চলতি বছর পাথরচাপুরি মেলা বাতিল ঘোষণা করার।

২৩ শে মার্চ থেকে ওই ঐতিহ্যবাহী মেলা হওয়ার কথা ছিলো। প্রসঙ্গত, দাতা বাবার মাজারকে কেন্দ্র করে অন্যতম তীর্থস্থান হয়ে উঠেছে পাথরচাপুরী। প্রতি বছর দাতাবাবার উরুষ উপলক্ষে আয়োজিত হয় এই মেলা। মেলায় শুধু বীরভূম বা এরাজ্যের লোক নয়, ভারতবর্ষের গন্ডি ছাড়িয়ে বাংলাদেশ, আরব সহ বিভিন্ন দেশের লোক আসেন সেসময়। এবার তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই মেলা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পাথরচাপুরি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন সামস বৈঠক শেষে জানান, “আপনারা জানেন এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাগমপূর্ণ সমস্ত রকম অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে। সে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক বা অন্য কিছু। এমনকি সৌদি আরবেও উমরাহ ও মক্কা শরিফের তওয়াফও এখন স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এটা করা হয়েছে কেবলমাত্র মানুষের ভালোর জন্য। এজন্য আমরা সমস্ত রকম আলাপ আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবছর পাথরচাপুরি মেলা হচ্ছে না। তবে ধর্মীয় দিকগুলি মানা হবে। মেলা বলতে যা বোঝায় তা হবে না।”