একেবারে কাপ জয়, মদের দোকান খুলতেই দীর্ঘ লাইন, খুশিতে ডগমগ সূরাপ্রেমীরা

লাল্টু : হারতে হারতে দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়ার মত অবস্থা, আর তারপর রুদ্ধশ্বাস জয়। কোন টুর্নামেন্টে ঠিক এইভাবে কাপ জয়ের পর যেমন খুশিতে ডগমগ হয়ে পড়েন সকলে, ঠিক তেমনই ডগমগ ছবি দেখা গেল সোমবার দেশের, রাজ্যের সূরাপ্রেমীদের। সোমবার দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মদের দোকান খোলার পর যেন দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর মিলেছে সাফল্য। কোথাও দীর্ঘ লাইন, কোথাও আবার মদের বোতল হাতে পেয়েই ‘ডিংকা চিকা ডিংকা চিকা ডিং’ গান গেয়ে, নেচে মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আনন্দকে আত্মপ্রকাশ করল সূরাপ্রেমীরা।

এমনই উল্লাস ধরা পড়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলায়। বাদ পড়েনি কলকাতা থেকে বীরভূম। কলকাতার সল্টলেকে দীর্ঘ পাঁচ কিলোমিটার লাইন পড়েছে মদ কেনার জন্য। বীরভূমের দুবরাজপুরেও একই ছবি। মদের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছবি। আর কেনইবা ফুটবে না, টানা ৪১ দিন পর অবশেষে খোলা মিলল মদের দোকান। সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত মদের দোকান খোলা থাকে। আগামীকাল থেকে প্রত্যেক জায়গায় দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মদের দোকানগুলি। তবে এই মদের দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে ১৫ টি শর্ত দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। যে সকল শর্তগুলির মধ্যে দোকান খোলার সময়, মদ নিতে এলে মাস্ক পড়ে থাকা আবশ্যিক, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

বর্তমানে লকডাউনের মাঝে মদের দোকান খুললেও সূরাপ্রেমীদের জন্য একটি খারাপ খবর রয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে অতিরিক্ত কর দিয়ে কিনতে হবে মদ। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে ১৫ টি শর্ত দেওয়া হয়েছে সেই ১৫ টি শর্তের কোন শর্ত লংঘন করলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে আবগারি দপ্তর।

প্রসঙ্গত, এদিন বিভিন্ন জায়গাতে মদের দোকানের সামনে যে পরিমাণ মানুষের লাইন দেখা গিয়েছে সেই লাইন হার মানাবে রেশনের দোকানের সামনের লাইনকেও বলে মত পোষণ করেছেন সমাজের বহু বিশিষ্ট মানুষেরা। তাদের মতে, রেশনের থেকেও বেশি চাহিদা মদের ছবি দেখলেই বোঝা যায়।