নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। এবার একটি যাত্রীবাহী বিমান ১৩৩ জন যাত্রীকে নিয়ে চিনে মাঝ আকাশে ভেঙ্গে পড়ল। সোমবার দুপুর বেলা এই ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝাউ প্রদেশের দুর্গম এলাকায়। দুর্গম এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ার পর পাহাড়ের জঙ্গলে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার মত আশা করা হচ্ছে না।
সোমবার দুপুর বেলা এই যাত্রীবাহী বিমানটি কানমিং থেকে গুয়াংঝাউ আসছিল। সেই সময় ৭৩৭ বোয়িং বিমানটি গুয়াংঝি প্রদেশে আচমকা ভেঙ্গে পড়ে। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। সুরক্ষিত এই বিমানটি কিভাবে ভেঙ্গে পড়ল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
চিন প্রশাসনের তরফ থেকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজ শুরু করা হয়। তবে এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের কারোর বেঁচে থাকার আশা একেবারেই ক্ষীণ।
দুর্ঘটনার পর যে জঙ্গল এলাকায় বিমান ভেঙে পড়ে সেই জঙ্গল এলাকায় সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের পর জঙ্গলে আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এই বিমানটি মাত্র ছয় বছরের পুরাতন। এদিন বিমানটির ৩টে ৫ মিনিট নাগাদ গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু ২টো ২২মিনিটের পর থেকেই তার গতিবিধি আর ট্র্যাক করা সম্ভব হয়নি।
Un Boeing 737 de la aerolínea China Eastern se ha estrellado con 133 personas a bordo en el sur del país. Volaba de Kunming a Guangzhou.pic.twitter.com/bGqv8ibZgv
— Zigor Aldama 齐戈 (@zigoraldama) March 21, 2022
Dash cam footage pic.twitter.com/w8iOzHblXE
— ChinaAviationReview (@ChinaAvReview) March 21, 2022
চিনে শেষবার বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে। সেই সময়ই ৯৬ জন যাত্রীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৪৪ জনের। এরপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের বিমানের নিরাপত্তা বিশ্বের অন্যতম সেরা নিরাপত্তা হিসাবে প্রমাণ করে। কিন্তু তার পরেও কিভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো তাই এখন ভাবার বিষয়।