লুঠের টাকা, দুর্নীতিবাজদের স্বাধীনতা দিবসে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

নিজস্ব প্রতিবেদন : ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে আনন্দে মাতোয়ারা দেশ। সোমবার নির্ধারিত সময়ে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নজর কেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন তার ভাষণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল লুঠের টাকা এবং দুর্নীতিবাজদের কড়া বার্তা দেওয়া।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এদিন নরেন্দ্র মোদি বিঁধলেন দেশের ভাই ভাতিজাতন্ত্রকে। তিনি ভাষণ রাখার সময় বলেন, ‘ভাই-ভাতিজাতন্ত্রে দেশের মঙ্গল হয় না।’ একইসঙ্গে দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। এদিন সকাল ৭টা ৩৩ মিনিটে ভাষণ শুরু করা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি ভাষণের শেষ লগ্নে এই ভাবেই দুর্নীতিবাজদের আক্রমণ করেন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “দেশ বর্তমানে দুটি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। একটি হলো পরিবার তন্ত্র এবং অন্যটি হলো দুর্নীতি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বজন পোষণ ও দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।” একাধিক রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এইভাবেই আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে আর এবার সেই আক্রমণ করতে দেখা গেল লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা এবং বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, কড়া হাতেই এবার হয়তো দুর্নীতি দমনে নামতে পারে সরকার। পাশাপাশি পরিবার তন্ত্র নিয়ে দীর্ঘদিনের যে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধেও কি কড়া পদক্ষেপ নেবে সেই নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। এদিন তিনি সাওয়াল করেন যোগ্যতার ভিত্তিতে অগ্রগতির পক্ষে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন যেভাবে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তা হল, ‘প্রভাবশালীরাও বাঁচতে পারবেন না। যারা ব্যাঙ্কের সম্পত্তি নিয়ে পালিয়েছিল তারা জেলে। যারা লুঠ করেছে তাদের সমস্ত সম্পদ ফেরাতে হবে। অনেকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় জেলে রয়েছে। তাও তাদের আলোচনা চলছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।’