‘করোনা লড়াইয়ে জিততেই হবে’, রবিবার রাত ৯টায় নতুন সংকল্প দিলেন মোদি

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে দেশে। আর আমরা ভাবছি লকডাউনের পরিস্থিতি ঘরে বসে একা কি করব, এক কিভাবে এর থেকে জয় পাবো, মুক্তি পাবো। কিন্তু একা নয়, ১৩০ কোটি দেশের মানুষ সবাই সবার পাশে আছে, এমনটাই জানালেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান জনতা কারফিউ, কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে ২৪ ঘন্টা এই ভাইরাসের সাথে লড়াই করা ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, মিডিয়া, জরুরি পরিষেবার সাথে যুক্ত প্রমুখদের যে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছিল তা এখন অন্যান্য দেশও অনুসরণ করছে। তাই আমাদের সমবেতভাবে এই লড়াইয়ে জয় পেতেই হবে।

শুক্রবার সকাল ৯ টার সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের বাসিন্দাদের সামনে এই অদৃশ্য দানব করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নতুন এক সংকল্প দিলেন। তিনি জানান, “৫ই এপ্রিল রবিবার আমি আপনাদের কাছে মাত্র ৯ মিনিট সময় চাইছি। রাত্রি ৯টার সময় আপনারা বাড়ির সমস্ত লাইট বন্ধ করে বাড়ির বারান্দা, বেলকনি অথবা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ অথবা মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালাবেন। মাত্র ৯ মিনিট। দেশের ১৩০ কোটি মানুষের সমবেত লড়াই এই অদৃশ্য দানবকে হারাবেই।”

কিন্তু কেন বাড়ির ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ, অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে বারান্দা বেলকনি অথবা বাড়ির দরজার সামনে দাড়াতে বললেন প্রধানমন্ত্রী? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লকডাউন চলাকালীন আমরা অনেকেই বাড়ির মধ্যে ঢুকে থেকে মনোবল হারাতে বসেছি। সেই মনোবল ফিরে পেতে ও সকলে সমবেত লড়াইকে একত্রিত করতে প্রধানমন্ত্রীর এমন পরিকল্পনা ও সংকল্প। এটা ঠিক যেন জয় পেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।

তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী যখন ২২ শে মার্চ জনতা কারফিউয়ের দিন বিকাল ৫টার সময় দেশের জনগণকে বলেছিলেন ডাক্তার, নার্স, পুলিশ ও অন্যান্য জরুরি সেবার সাথে যে সকল মানুষেরা যুক্ত রয়েছেন তাদের সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে। সেসময় লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বাড়ির বারান্দা, দরজা থেকে এই কাঁসর ঘণ্টা বাজাতে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনগণ নিজেদের বারান্দা, দরজার গণ্ডি টপকে উৎসবের মেজাজে রাস্তায় একত্রিত হয়ে নেমে পড়েছিলেন। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপদজনক। তাই এবার তিনি বারবার জনগণকে জানান, “৫ ই এপ্রিল রবিবার রাত ৯টার সময় বাড়ির ইলেকট্রিসিটি বন্ধ করে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ অথবা ফ্ল্যাশ জ্বালানোর সময় বাড়ির বাইরে আসার প্রয়োজন নেই। পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে একত্রিত হয়ে এমনটা করবেন না। যা করবেন বাড়ির বারান্দা, দরজা অথবা বেলকনি থেকেই।”