চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী, জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদির ৫ গল্প

নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭২ তম জন্মদিন। আর এই জন্মদিনে দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও শুভেচ্ছাবার্তা ভেসে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটের মহেসানায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সেজো ছেলে নরেন্দ্র মোদি। দাদার সঙ্গে তিনি বিক্রি করেছেন চা। সংসার চালাতে চা বিক্রি করা এই নরেন্দ্র মোদী একদিন দেশের সর্বময় কর্তা হয়ে দাঁড়াবে তা হয়তো কারোর কল্পনার মধ্যে ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বাচ্চাদের খুব ভালোবাসেন। যে কারণে প্রায়ই তাকে স্কুলের বাচ্চাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায়। এমনকি কিছুদিন আগে বোর্ড পরীক্ষার সময় তাকে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ নামে একটি অনুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছিল যা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

সময় সময়ে তিনি তরুণ পড়ুয়াদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে তাদের পথপ্রদর্শন করেন। ছোটবেলা থেকেই নরেন্দ্র মোদি বেশ মেধাবী ছিলেন এবং পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যান্য দিকেও পারদর্শী ছিলেন। স্কুল জীবনে তিনি শিক্ষক এবং অন্যান্যদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদির স্কুল জীবন কেটেছে মহেশ্বরা জেলার বড়নগর অঞ্চলে। ছোটবেলা থেকেই তিনি বক্তা হিসাবে দক্ষ ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি ছোট থেকেই পাখিপ্রেমী ছিলেন। একসময় তিনি একটি এনসিসি ক্যাম্প গিয়ে হঠাৎ একটি ল্যাম্পপোস্টের উপর চড়ে বসেন। সেখানে এমন ঘটনা দেখে তার শিক্ষক গোবর্ধন প্যাটেল প্রথমে রেগে যান। তবে পরে জানতে পারেন ল্যাম্পপোস্টে আটকে পড়া একটি পাখিকে তিনি উদ্ধার করতে ল্যাম্পপোস্টে চেপেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ছোটবেলা ভীষণ অভাবের মধ্যে কেটেছে। তার জুতো কেনার টাকা পর্যন্ত ছিল না। তার মামা তাকে একজোড়া সাদা জুতো কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাদা জুতো পরিষ্কার করার টাকা পর্যন্ত তার ছিল না। সেজন্য তিনি অব্যবহৃত চকের ছোট ছোট টুকরো কুড়িয়ে জড়ো করতেন এবং সেগুলিকে পেস্ট করে জুতোই লাগিয়ে নিতেন। শুকিয়ে যাওয়ার পর জুতোর রং পুনরায় সাদা হয়ে যেত।

নরেন্দ্র মোদিকে হাইস্কুলে পড়াকালীন তার স্কুল ঘরের দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে। যে কারণে তিনি সেই দেওয়াল ঘর তৈরি করার জন্য তার সতীর্থদের নিয়ে একটি নাটক পরিবেশন করেন। অভিনয় দক্ষ নরেন্দ্র মোদি সেই নাটক পরিবেশন করে যে অর্থ উপার্জন করেন তা স্কুল কমিটিকে দেন দেওয়াল তৈরি করার জন্য।

সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, নরেন্দ্র মোদী তার বন্ধুদের সঙ্গে একবার শর্মিষ্ঠা সরোবরে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে একটি কুমিরের বাচ্চা ধরে বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা দেখে তার মা হীরাবেন মোদি মায়ের থেকে সন্তানের আলাদা হয়ে যাওয়ার কষ্ট বোঝান। সেই কথা শুনে এবং বুঝে মোদি পুনরায় ওই বাচ্চা কমিটিকে ওই সরোবরে দিয়ে আসেন।