বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম কান্ড দুবরাজপুরে, আক্রান্ত পুলিশ

লাল্টু : দুবরাজপুর ব্লকের লোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরবেড়া গ্রামে মঙ্গলবার সকালে বছর তিরিশের পতিহার ডোম নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেন এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং মৃতের পরিবারের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। পুলিশকে ঘিরে সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে ওই যুবককে খুন করেছে।

আর এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝেই একটি অ্যাম্বুলেন্স ওই মৃত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু ওই অ্যাম্বুলেন্সটিকে পুনরায় আটকে দেওয়া হয় ঝাউডাঙ্গাল গ্রামে। সেখানকার বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটকে পুনরায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং অবিলম্বে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন। তাদের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে।

দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্স সহ দেহ আটকে থাকার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে র‍্যাফ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায় অ্যাডিশনাল এসপির নেতৃত্বে। যার পরেই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। মৃতদেহ আটকে রাখা এবং মৃতদেহ ছাড়ানোকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড তৈরি হয় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আলোচনার মাঝেই হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার পরেই তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে প্রথমে পুলিশ পিছপা হয় এবং পরে বিক্ষোভরত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং শূন্যে গুলি ছুঁড়েছে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে পুলিশ কোনরকম গুলি চালায় নি।

[aaroporuntag]
দীর্ঘক্ষণ ধরে দুপক্ষের এই লড়াইয়ে দুই জন পুলিশ কর্মী গুরুতর আহত হন। পাশাপাশি আহত হন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারাও। আহত পুলিশ কর্মী এবং বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়।