লাভপুরে প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

অমরনাথ দত্ত : গত শনিবার বীরভূমে পরপর দুটি জায়গায় দুই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা ঘটে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে খয়রাশোলে এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে লাভপুরে। খয়রাশোলে খুন হন তৃণমূল কর্মী শিশির বাউরী এবং লাভপুরে খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সহদেব বাগদি। শিশির বাউরীকে সকালবেলায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে লাভপুরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সহদেব বাগদি মাঠে কাজ করতে যাওয়া অবস্থায় তার গলার নলি কেটে তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর দুই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের তরফ থেকে এলাকার যথাক্রমে সাতজন ও পাঁচজনের নামে খয়রাশোল ও লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগ পেয়ে লাভপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত পাঁচজনকে রবিবার রাতেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। লাভপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী বলে জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে নাম জড়াই লাভপুরের বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলাম ও তার ভাইয়ের। মৃতের পরিবারের অভিযোগ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য সহদেব বাগদিকে খুন করা হয়েছে। ধৃত ওই পাঁচজন ব্যক্তি পবন বাগদি, কটা বাগদি, ভরত বাগদি, বিমল বাগদি ও গোপিনাথ মন্ডলকে সোমবার বোলপুর আদালতে তোলা হয়। এদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনে ৩০২, ২০১ এবং ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। আর পুলিশের সেই প্রার্থনা মত আদালতের বিচারক মনিকুন্তলা রায় মহোদয়া ১৪ দিনের ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে খয়রাশোলের তৃণমূল কর্মী শিশির বাউরির খুনের ঘটনায় শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার হয় চারজন। যারা হলেন অজয় দাস, দিনু দাস, গণেশ বাউরী এবং সঞ্জয় বাউড়ি। ধৃত এই চারজন এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এদের রবিবার দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে পুলিশ এদেরও ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত প্রার্থনা করে। প্রার্থনা মত আদালত চারজনের সাত দিনের পুলিশ হেফাজত দেয়।