নিজস্ব প্রতিবেদন : হাসপাতালের বারান্দায় থাকা হুইলচেয়ার নিজে থেকেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ওই হুইল চেয়ারে কেউ বসে নেই বা কেউ ধাক্কাও দেয়নি। তাহলে এমনটা কিভাবে সম্ভব! আর এই অসম্ভব কর্মকাণ্ডের ছবি ধরা পড়েছে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়েছে ভূতের আতঙ্ক।
চণ্ডীগড়ের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যন্ড রিসার্চে এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। আর সেই ভিডিও দেখে রীতিমতো হতবাক সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় থাকা তিনটি হুইল চেয়ারের মধ্যে একটি হুইল চেয়ার কারোর অনুপস্থিতিতেই আচমকা চলতে শুরু করে। আবার অন্য একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে অপর একটি হুইল চেয়ারের গড়িয়ে যাওয়ার দৃশ্য। গভীর রাতের আলো আঁধারি মুহূর্তে এই দৃশ্য অনেকেরই গায়ে কাঁটা দেবে।
তবে এই ভিডিও নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। অনেকেই যুক্তি দিয়ে বলেছেন আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ভিডিও বানানো হয়েছে। আবার অনেকের মত, এখানে অলৌকিক ঘটনার মতো কিছু ঘটেনি, বারান্দায় যেদিকে বেশি ঢাল রয়েছে সেদিকে হাওয়া বা কোনো কারণবশত হুইলচেয়ার গুলি গড়িয়ে গিয়েছে।
কিন্তু এই অলৌকিক ঘটনা যিনি প্রথম চাক্ষুষ করেছিলেন তিনি হলেন মনোজ কুমার। তিনি ওই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী। প্রথমে এমন দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান, তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে পরবর্তী মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করেন।
তবে এই ভিডিও দেখার পর অন্য এক হাসপাতাল কর্মী জানিয়েছেন, “আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে কাজ করেছি। এমন ঘটনা আগেও দেখেছি। আসলে হুইলচেয়ারে ব্রেক লাগানো না থাকলে সহজেই গড়াতে পারে। তাই একটু জোরে হাওয়া দিতেই ওই হুইলচেয়ারগুলি গড়িয়ে গেছে।”
A security guard stepped outside for water when he saw this. 😳 pic.twitter.com/65OFcvWkQc
— People (@people) September 26, 2019
তিনি তার মন্তব্যের পাশাপাশি যুক্তিও দিয়েছেন। বলেছেন, “ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায় থাকা টবের গাছের পাতাগুলি নড়ছে।” ওই ভদ্রলোকের যুক্তি নেট দুনিয়ার অনেকে মেনে নিলেও এই ঘটনার সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।