পৌষমেলা! মাঠ থেকে ব্যবসায়ীদের তুলতে নয়া পদক্ষেপ বিশ্বভারতীর

অমরনাথ দত্ত : ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর কোনো না কোনো নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আর এবারও সেই ঘটনার ব্যতিক্রম কিছু হলো না। নতুন এই তরজা এতটাই তুঙ্গে যে তা গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত।

গতকাল শান্তিনিকেতন থানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ জানিয়েছে, যে অভিযোগ রয়েছে এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর অভিযোগ, মেলার দিন বাড়াতে হবে বলে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হুমকি দিচ্ছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে।

গত ২৪ শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পৌষমেলা এবার চার দিন হবে বলে আগাম জানিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসন। পরিবেশ আদালতের নির্দেশেই এই মেলা এবার চারদিন বলে জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী সূত্রে। সূচি অনুযায়ী মেলা শেষ হয়ে গেছে শুক্রবার।আর তারপরেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, মেলায় আর জল সরবরাহ করা হবে না। পাশাপাশি মেলার মাঠে ঢোকার গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই শনিবার থেকে বন্ধ গেট ও জল সরবরাহ। আসলে মেলার মাঠ থেকে ব্যবসায়ীদের তুলতেই এমন নয়া পদক্ষেপ বলে মনে করছে আগত পর্যটকরা।

ঘটনাক্রমে বলে রাখা ভালো, প্রতিবছর মেলা চার দিন হোক অথবা ছয় দিন, কোন বারই কিন্তু কড়া পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার মাঠ থেকে ব্যবসায়ীদের সম্পূর্ণভাবে তুলতে সক্ষম হয় না। এছাড়াও ভাঙ্গা মেলার টানে বেশ কয়েকদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা মেলায় এসে ভিড় জমান। যার কারণে মেলা নির্দিষ্ট দিনে শেষ হয়ে গেলেও মেলার রেস গড়ায় আরও কয়েকদিন। আর যার খেসারত দিতে হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পরিবেশ আদালতে। প্রতিবছরই মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই পৌষমেলার দূষণ নিয়ে মামলা গড়ায় পরিবেশ আদালতে। যার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, এই মামলা লড়তে লড়তে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়ে যায়। যে কারণেই হয়তো এবছর এমন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

তবে মেলার মাঠে জল সরবরাহ অথবা প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হলেও বহু পর্যটককে কিন্তু দেখা গেল পাঁচিল টপকে মেলায় ঢুকতে। এখনো মেলায় রয়ে গেছে অজস্র ব্যবসায়ী তাদের দোকান পেতে।আগামী দিনে দেখার বিষয় এটাই যে এইসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।