এই ৮ বিলেই কি খর্ব হবে রাজ্যপালের ক্ষমতা, চরম জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য এবং রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। কয়েক দশক ধরেই এই সংঘাত লক্ষ্য করা যায়। তবে সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও তৃণমূল সরকারের আমলে এই সংঘাত সবচেয়ে বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক বিল সম্প্রতি শেষ হওয়া বাদল অধিবেশনে পাস করানো হয়েছে। তবে তৃণমূল সরকারের বিধায়কদের অভিযোগ, বিধানসভায় পাস হওয়া সেই সকল বিলের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সই না করে ফেলে রেখেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

তবে এই অভিযোগ করা হলেও শনিবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর টুইট করে লিখেছেন, বিলের বিষয়ে বিধানসভার তরফ থেকে একাধিক অসম্পূর্ণ তথ্য পাঠানো হয়েছে তার কাছে। এর পাশাপাশি তিনি দাবী করেছেন, কোন বিল তার কাছে বিবেচনার জন্য পড়ে নেই।

এবারের বাদল অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় যে সকল বিল পাস করানো হয়েছে সেগুলি হল, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, ওয়েস্ট বেঙ্গল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় লজ সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, রাজ্য প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেনান্সি ট্রাইব্যুনাল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সেশন ট্রাইবুন্যাল অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২, দ্য আলিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২।

এই আটটি বিল নিয়েই বাড়ছে চাপানৌতর। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, এই আটটি বিলের মাধ্যমে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই সকল বিল আইনে পরিণত করতে হলে সই লাগবে খোদ রাজ্যপালের। এ সকল বিলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি লজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২ বিল। কারণ এই বিলের মাধ্যমেই রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য পদ হারাবেন এবং উপাচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।