নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল রাজ্য সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হুংকার দিয়েছিলেন দেশজুড়ে এনআরসি হবে বলে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের ভোট রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিকার প্রশান্ত কিশোর। তাঁর প্রশ্ন, কিভাবে দেশজুড়ে এনআরসি বাস্তবায়িত করা সম্ভব, যেখানে দেশে রয়েছেন ১৫ টি রাজ্যে রয়েছে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ও তাদের সরকার।
বুধবার রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, “NRC প্রত্যেক ভারতীয়কে নাগরিক তালিকাভুক্ত করার একটি প্রক্রিয়া মাত্র৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও নাগরিক পঞ্জি এক নয়৷ ভারতের প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে NRC-র অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ ধর্মের ভিত্তিতে NRC হবে না৷”
এছাড়াও বলেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খৃস্টান, শিখ, পার্সি শরণার্থীদের এই দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের৷ সে কারণেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হয়েছে৷ প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা যে শরণার্থীরা ধর্মীয় হিংস্রতার শিকার, তাঁরাও এই বিলের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন।”
কিন্তু এরপরই অমিত শাহের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ”১৫ টিরও বেশি রাজ্যে অবিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর শাসন চলছে। দেশের ৫৫% জনসংখ্যা রয়েছে ওই রাজ্যগুলিতে। কজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বা রাজি করানো গিয়েছে, তা জানতে চাইছি।”
15 plus states with more than 55% of India’s population have non-BJP Chief Ministers. Wonder how many of them are consulted and are on-board for NRC in their respective states!!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) November 20, 2019
প্রসঙ্গত, গতকাল মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি হবে না। তাঁর উপরে ভরসা রাখার আবেদনও করেছেন সাধারণ মানুষদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সভায় বলেছেন, ”এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ভরসা রাখুন আমার উপর। আমদানি করা নেতার কথায় কান দিবেন না বা বিশ্বাস করবেন না। সে হিন্দুই হোক বা মুসলমান হোক। আপনারা যারা মাটিতে থেকে লড়াই করছেন, তাদের পাশে আছি। মাথায় রাখবেন এনআরসি হবে না। চিন্তার কারণ নেই। আপনারা এদেশের নাগরিক। একটাও লোককে বিতাড়িত করতে দেবো না।”