নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ এবং গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানোর পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। আর মুখ খুলেই তিনি বিস্ফোরক। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎ দেওয়ার সময় তিনি প্রথম মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে।
প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, শুভেন্দু অধিকারী যে বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছিল তা তার আগে থেকেই জানা ছিল। আর সেই কারণেই তাকে গত এক বছর ধরে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। পাশাপাশি দলত্যাগ প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর রাজনীতিতে নিজস্ব জায়গা রয়েছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা ভালো কিন্তু নিজের সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থাকা ঠিক নয়।”
আর এই ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “অনেক সময় উচ্চাকাঙ্ক্ষার বশে অনেকেই ভাবেন দলের সাময়িক ক্ষতিতে তার ভালো হবে। কিন্তু এমনটা ভাবা ঠিক নয়।”
প্রশান্ত কিশোরের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে প্রতারণা করেছেন শুভেন্দু। আর এই প্রসঙ্গে তিনি বলতে গিয়ে বলেন, “তৃণমূলের থাকার সময়ও তার বিজেপির সাথে যোগ ছিল এই কথা তিনি জনসম্মক্ষে স্বীকার করেছেন। আর এই স্বীকারোক্তিতে আমরা খুশি। নিজেই বলেছেন ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দল থেকে ছেঁটে ফেলেন নি। আর এই জায়গায় কেউ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থানে থাকেন তাহলে নিজেকে প্রতারিত বলে মনে করতেই পারেন।”
মোটের উপর প্রশান্ত কিশোর প্রথমবার শুভেন্দু অধিকারী সম্বন্ধে মুখ খুলে এটাই জানালেন যে, তিনি জানতেন বিজেপির সাথে শুভেন্দুর আগে থেকেই যোগাযোগ ছিল। আর সেই কারণেই দলের বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব থেকে তাকে সরানো হয়েছিল।
কিন্তু প্রশ্ন হলো শুভেন্দু অধিকারীর দল ত্যাগ এবং গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানো একুশের নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে? এ প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর জানান, “যে কোন নেতার দলত্যাগ সাময়িকভাবে দলের ক্ষতি করে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে দল শেষ হয়ে যাবে বা শেষ হয়ে গেছে।”
পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোর এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, আগামী একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিমুখী লড়াই হতে চলেছে। আর এই দ্বিমুখী লড়াইয়ে রাজ্যে বিজেপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। আর তৃণমূলে ভাঙ্গনে কারণও এটাই। কিন্তু তা সত্ত্বেও পিকে দাবি করেছেন আগামী বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হবেন এবং বিজেপি একশর বেশি আসন পেরোবে না।