সাইক্লিস্ট হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে ধাবায় কাজ, রিয়াজের পাশে দাঁড়ালেন রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : দু-চাকার স্বপ্ন পূরণ করতে ধাবায় বাসন মাজার কাজ নিয়েছিল সাইক্লিস্ট নবম শ্রেণীর ছাত্র রিয়াজ। স্বপ্ন, সাইকেল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া। স্বপ্ন পূরণের এই চেষ্টা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নজরে আসতেই ইদ-উল-আযহার দিনে রিয়াজের হাতে তুলে দেন ইদের উপহার একটি রেসিং সাইকেল।

রিয়াজকে আশির্বাদ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে নিজেকে গড়ে তোল। তোমার দেখা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দাও। আন্তর্জাতিক আঙিনায় সাফল্য লাভ করো। সেই সঙ্গে রিয়াজের উদাহরণ টেনে দেশের তরুণ প্রজন্মকে বলেন, কঠিন পরিশ্রম, সাহস ও একাগ্ৰতা দিয়ে নিজেদের সাফল্য লাভের মধ্যে দিয়ে দেশকে গড়ে তোল।

দিল্লির আনন্দ বিহারের সর্বদয় বাল বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র রিয়াজ। রিয়াজের বাবা পেশায় রাঁধুনি। কাজের সূত্রে তিনি বিহারের মধুবনী জেলা থেকে দিল্লিতে আসেন। গাজিয়াবাদের মহারাজপুর এলাকায় বাবা, মা, দুই বোন ও এক ভাইয়ের সাথে ভাড়া বাড়িতে কোনরকমে বসবাস করে রিয়াজ।দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয়নি রিয়াজকে প্রাকটিসের জন্য ব্যায়বহুল রেসিং সাইকেল কিনে দেওয়া।

যদিও রিয়াজ ইতিমধ্যেই ২০১৭ সালে দিল্লি স্টেট সাইকেলিং প্রতিযোগিতায় জয় করে নিয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। স্কুলের একটি জাতীয় স্তরের সাইকেল প্রতিযোগিতায় সে গুয়াহাটিতে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এই সাফল্য তাকে উৎসাহিত করে তোলে। ফলে বাধ্য হয়ে সাইকেলের টাকা জোগাড় করতে হোটেলে বাসন মাজার কাজ নেয় রিয়াজ।

তাঁর চেষ্টা দেখে ট্রেনার প্রমোদ শর্মা তাকে প্রফেশনাল ট্রেনিং দিতে এগিয়ে আসেন। স্কুলের পড়াশোনা, হোটেলে কাজ করার পর সময় বের করে রোজ ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রিয়াজ প্রাকটিস শুরু করে। যদিও তাঁর নিজের সাইকেল না থাকায় ধার করতে হয়েছে অন্যের কাছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই না থামানো রিয়াজ অবশ্য তার জন্য পাশে পেয়েছে খোদ দেশের রাষ্ট্রপতিকে। যে রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বপ্ন পূরণের জন্য সবচেয়ে খুশির ইদের দিনে তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে একটি রেসিং সাইকেল।