‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’, তাহলে কি সব পাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদন : Valentine Day অর্থাৎ প্রেম দিবসের দিন প্রথম সামনে এসেছিল বিয়ের কার্ড। এবার বিয়ের দিন খুঁজতে তোড়জোড় শুরু করে দিলেন প্রসেনজিৎ। বিয়ের দিন ঠিক করার জন্য ‘ঋতু ঋতু’ করে ডেকে অস্থির হয়ে উঠেছেন তিনি। সেই ডাক শুনে ছুটে এলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই বিয়ের দিন ঠিক করার যে তোরজোড় শুরু করেছেন তার একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। প্রসেনজিতের বারবার ‘ঋতু ঋতু’ ডাকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাইরে বেরিয়ে এসে বলেন, “কি হল, এত চেঁচামিচি করছ কেন?” প্রসেনজিৎ উত্তর দেন, “চেঁচামিচি নয়। এবার বিয়ের দিনটা ঠিক করা উচিত না?” কথা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং বলেন, “কি আমাদের বিয়ের তারিখ! কি আজেবাজে বকছ! ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে। বিয়ের তারিখ!”

এরপরেই সামনে আসে আসল রহস্য। প্রসেনজিৎ বলে ওঠেন, “আরে আমাদের বিয়ের কথা থোড়ি বলছি। এতো…।” এই কথা বলা মাত্রই দেখা যায় ভিডিওটি আটকে যাচ্ছে। প্রথমদিকে যে কেউ ভেবে নিতে পারেন তার ইন্টারনেট স্লো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়। আসলে পুরো ঘটনায় চমক দিয়ে রাখার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়েছে।

এর কিছু পরেই দেখা যায় ভিডিওর মধ্যে বেজে ওঠে মিউজিক এবং ভিডিওর শেষে দেখা যায় পর্দায় ভেসে উঠছে ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা।’ সেখানেই ঘোষণা করা হয়েছে শীঘ্রই বিয়ের তারিখ জানানো হবে। ভ্যালেন্টাইন ডে-তেও এই একই ভাবে চমকে উঠেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকরা। আর এবার ন্যাশনাল সিনেমা ডে-তেও ওই একই ধরনের চমক রইল।

ভ্যালেন্টাইন ডে-তে যে কার্ড সামনে এসেছিল তাতে লেখা ছিল, ‘বিগত তিন দশকের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পর এবার আমরা নতুনভাবে আপনাদের সামনে আসতে চলেছি।’ এর পাশাপাশি লেখা ছিল, ‘গুরুজনদের আশীর্বাদ এবং সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমরা আগামীর পথ চলতে চাই।’ এই বিয়ের দেখাশোনা থেকে শুরু করে সবকিছুর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তাঁর হাট্টিমাটিম টিম। ঘটকালির দায়িত্বে রয়েছেন খোদ প্রসেনজিতের বোন পল্লবী। মনে করা হচ্ছিল সত্যিই রিললাইফে বিয়ে করতে চলেছেন প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা। তবে আদৌ কি তাই! উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।