ইঁট মোরাম দিয়ে পিচের পাকা রাস্তা সারাই, বিক্ষোভ স্থানীয়দের

লাল্টু : পিচের রাস্তা সারাইয়ের বিকল্প পদ্ধতি ইঁট মোরাম। যা দেখে রীতিমত হতচকিত এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ জন্মায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আর তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তা সারাইয়ের কাজ।

বিগত কয়েক বছর ধরেই দুবরাজপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, কামারশাল মোড় থেকে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি মানুষদের নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। একাধিকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। মাঝে এই রাস্তা নামমাত্র সারাই করা হলে পুনরায় সেই রাস্তা আবার ভগ্নদশায় পরিণত হয়।

শুক্রবার সকাল থেকে এই রাস্তা সারাইয়ের জন্য ইঁট এবং মোরাম ব্যবহার করা হচ্ছিল। পাকা রাস্তা সারাই করার জন্য ইঁট ও মোরামের ব্যবহার দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা এর প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, আমরা শহরে না গ্রামে বাস করছি বুঝতে পারছি না। পাশাপাশি পাকা পিচের রাস্তা ইঁট ও মোরাম দিয়ে সারাই করা হচ্ছে এমন ঘটনাও নজিরবিহীন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়ে ওই কাজ বন্ধ করে দেন এবং যে সকল ইঁট ও মোরাম ফেলা হয়েছিল সেগুলি তুলে নেওয়া করান। তাদের দাবি এই ভাবে যদি ইঁট এবং মোরাম দিয়ে রাস্তা মেরামত করা হয় তাহলে পরবর্তীকালে আরও ধুলো হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাজী এনামুল অভিযোগ করেছেন, “দিন পনেরো আগেই এই রাস্তাটির উপর পিচের প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রলেপ উঠে যায়। আজ দেখছি যে সকল জায়গায় গর্ত হয়ে গিয়েছে সেখানে ইঁট আর মোরাম দিয়ে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এইভাবে তো আর রাস্তা সারাই করা যায় না। আমরা চাই পুরো রাস্তা নতুন করে তৈরি হোক। যাতে করে এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তি দূর হয়।”

প্রসঙ্গত, এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তাটি দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দা এবং অন্যান্যদের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যাতায়াত করতে হয়। এটি একমাত্র দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা খারাপ হয়ে থাকার দরুন বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। রাস্তাটির কারণে পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে বর্ষাকালে জল জমে যাওয়ায় কোথায় খাল রয়েছে তা বোঝা যায় না, আবার বৃষ্টি না পড়লে গোটা এলাকা ধুলোতে ভর্তি হয়ে যায়।