পরিযায়ী শ্রমিকদের টিকিটে ৮৫% ভর্তুকি দিচ্ছে রেল, গড়িমসি দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, অধীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার জন্য অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রেনের বন্দোবস্ত করেছে কেন্দ্র সরকার। এরপর অভিযোগ উঠতে থাকে ট্রেনের টিকিটের ভাড়া নিয়ে। কেন্দ্রের বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে প্রশ্ন তোলেন, “রেল মন্ত্রক কেন্দ্রের করোনা তহবিলে ১৫১ কোটি টাকা দান করতে পারলে কেন পরিচয় শ্রমিকদের টিকিটের দাম মুকুব করছে না?”

আর রাহুল গান্ধীর এই ট্যুইটের উত্তরে সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, “রেল দপ্তর ৮৫% খরচ মুকুব করছে। এবার কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে বলুন ১৫% ভাড়া যেন তারাই বহন করে।” রেল দপ্তর যে ৮৫% ভাড়া মুকুব করছে তা রেল মন্ত্রীর সাথে কথা বলে জানিয়েছেন কংগ্রেসের আরেক নেতা তথা সংসদের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী রেল দপ্তরের ৮৫% ভাড়া মুকুবের কথা জানানোর পাশাপাশি তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানো নিয়ে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন।

অধীর চৌধুরী একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “রেলমন্ত্রী শ্রী পীযুষ গোয়েল আজ একটু আগেই আমায় ফোন করেছিলেন। ফোনে আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার যত ট্রেন চায় দেওয়া হবে, তার সাথে ৮৫% টিকিটের খরচে ভর্তুকিও দেওয়া হবে পরিযায়ীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে। তবে তিনি এও বললেন উনি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ীদের ফেরাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি, তিনি পরিযায়ীদের ফেরাতে যথাযথ উদ্যোগী নন।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গের গড়িমসিতে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। আপাতত মাত্র দুটো ট্রেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার চেয়েছে। একটা আজমের শরীফ থেকে আর একটা কেরালা থেকে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ লোক আটকে, দুটো ট্রেনে কি হবে! কিন্তু রেল দপ্তর জানালো, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আর কিছু সেভাবে চাওয়া হয়নি। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে যা করার যা ফেরানোর ফেরাতে হবে, হাতে সময় কম, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিন।”

প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য রেল দপ্তরের কাছে সরাসরি কোন রেলের দাবি করা হয় না। তবে যে রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরবেন এবং যে রাজ্যে আসবেন সেই দুই রাজ্যের নোডাল অফিসারদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করতে হয় কত সংখ্যক ট্রেনের প্রয়োজন। সেই সংখ্যক ট্রেন চাওয়া হয় রেল দপ্তরের কাছে। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এখানেই অভিযোগ করেছেন রবিবার বেলা তিনটে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কোন রাজ্যের কোন নোডাল অফিসারের মাধ্যমে রেলের কাছে কোন দাবি জমা পড়েনি। তিনটের পর মাত্র দুটো ট্রেনের দাবি জমা পড়েছে ভারত সরকারের কাছে। দুটির মধ্যে একটি রাজস্থানের আজমির শরীফ থেকে আর একটা যাবে কেরল থেকে।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরও জানান, “রেলমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করার জন্য। যাতে করে তারা তাদের সমিতির ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আরও বেশি এগিয়ে আসে।”