নিজস্ব প্রতিবেদন : “রাজনীতি হল নীতির রাজা। রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা উচিত। রাজনীতিতে অসৌজন্যতা কাম্য নয়। রাজনীতির অর্থ হলো মানুষের জন্য কাজ করা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি ঘটানো। এতে কেন কাদা ছোড়াছুড়ি থাকবে? কেন আমাকে দুটো নোংরা কথা, দুটো বাজে কথা বলতে হবে? এই রাজনৈতিক সৌজন্যতায় আগামী দিনে পশ্চিমবাংলায় আমি দেখাতে চাইছি।” বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে দিল্লি রওনার সময়ও এমনই সৌজন্যতা দেখালেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন, ‘তাকে চরমভাবে আক্রমন করেছেন দলের একাংশ’।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিগত এক মাস কিভাবে আমাকে আক্রমন করেছে দেখেছি। কয়েকজন নেতৃত্ব যেভাবে যে ভাষায় আক্রমন করেছেন, তারা আমার সতীর্থ, সম্মান জানিয়েই বলি। অনেক মাঝারি, বড়, ছোট ধরনের নেতা অনেক কথাই আমাকে আক্রমন করেছেন যাতে আমি সত্যিই ব্যথিত। এতদিন ধরে আমি দলে থেকে আমাকে যা নির্দেশ দিয়েছে আমি তাই করেছি। কিন্তু তারপরেও সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমি কোনো কটু কথা না বললেও এই ভাবে যদি আক্রমন করা হয়ে থাকে, এইটা আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছিল, দুঃখ দিয়েছিল। দলে থাকা সত্ত্বেও, মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে থাকা সত্ত্বেও আমি যখন দল অথবা কারোর বিরুদ্ধে কথা বলছি না তখনও যেভাবে আমাকে কথা শুনতে হয়েছে তা আমার এবং আমার পরিবার তথাপি ডোমজুড় ও বাংলার বাসিন্দাদের আহত করেছে।”
পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও কোনো রকম অসৌজন্যতা দেখাবেন না বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আগামী দিনেও আমি ওই সকল নেতাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবো না। আমার কাজ হবে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করা। আর আমি যদি দেখি সেই কাজ করার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পাচ্ছি তাহলে আর পিছন ফিরে তাকাবো না। আমি আমার সোজা রাস্তা নেবো।”
তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত আক্রমন এমন নিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল। এমন এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। কোথাও আমাকে নিয়ে, কোথাও আমার পরিবারকে নিয়ে যার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি এবং আমার পরিবার। সবথেকে দুঃখের বিষয়ে দলের একজনও তাদের মিনিমাম সতর্ক করলেন না যারা এই ভাবে আমার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন। অন্ততপক্ষে একবার সর্তক করলেও আজ আমি একটু অন্যরকম স্পর্শ পেতাম।”
মোটের উপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার দিল্লি যাওয়ার পথে তৃণমূলের একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে, তাদের আচার-আচরণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও তিনি একে অস্বীকার করেন নি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব তিনি ভুলবেন না।”