‘করোনার থেকেও প্যানডেমিক পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ’, অগ্নিমিত্রা পল

নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘করোনার থেকেও প্যানডেমিক মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ’। মঙ্গলবার রামপুরহাটের দুই গণধর্ষিতা নাবালিকার সাথে দেখা করতে এসে এই ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যে ধর্ষণ নিয়ে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পল।

তিনি এদিন বলেন, “দেখতে পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের কি অবস্থা। প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গের কোন না কোন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়ে তাঁর রাজত্বের তার রাজ্যে মহিলাদের এই অবস্থা, কিছু বলার নেই। এর একমাত্র কারণ সেই ২০১১ সাল থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রতিবাদ করেননি। দিনের পর দিন মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়ে এসেছে কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কোন পদক্ষেপ নেননি।”

পাশাপাশি তিনি বলেন, “আজকে চার বছর থেকে ৭৫ বছর বয়সী মহিলার ওপর হামলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা আজ এতই অসুরক্ষিত যে নাচের ক্লাস, গানের ক্লাস অথবা টিউশন গেলে সুরক্ষিতভাবে বাড়ি ফিরবেন কিনা তার কোন গ্যারান্টি নেই। আমরা খুব খারাপ সময়ে উপর দিয়ে যাচ্ছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হাতের বাইরে চলে গেছে। জানিনা উনি চেষ্টা করেছেন কিনা পদক্ষেপ নেওয়ার। আজকে করোনাকে আমরা বলছি প্যানডেমিক, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ধর্ষণ অথবা মহিলাদের উপর অত্যাচার করোনার থেকেও প্যানডেমিক।”

উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় বীরভূমের রামপুরহাট থানার রানীগ্রামের ১৩ বছর বয়সী দুই আদিবাসী নাবালিকার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে আসেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে দেখা করেন ধর্ষিতা দুই আদিবাসী নাবালিকার সাথে, পাশাপাশি কথা বলেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথেও।

এই ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ইতিমধ্যেই ৬ জন নাবালককে গ্রেপ্তার করে। সোমবার অভিযুক্তদের সিউড়ি জুভেনাইল কোর্টে তোল হয়। সেখানে বিচারক তাদেরকে ২৭ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বহরমপুরের এক সরকারি হোমে রাখার নির্দেশ দেন। যদিও এই ঘটনায় একজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।