এয়ারটেল, ভোডা, আইডিয়া, জিও একে অপরকে খোঁচা : মিনিটে ৬ পয়সায় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রাইয়ের নিয়মে সম্পূর্ণ আনলিমিটেড উঠে যাওয়ার পর থেকেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া ও জিওর মধ্যে। জিওকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা দিয়েছে এয়ারটেল, যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যুত্তরও দিতে পারেনি রিলায়েন্স জিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ঘিরে বাজারের পর জমে উঠেছে সংস্থাগুলির মধ্যে লড়াই।

এয়ারটেলের করা পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পরেই জিও তরফ থেকে উত্তর দিয়ে লেখা হয়েছে, “আমরা না, টাকাটা ওরা নিচ্ছে।” যদিও এ বিষয়ে জিও জানিয়েছে এর জন্য তাদের কোন দোষ নেই। ট্রাইয়ের নিয়ম অনুসারে গ্রাহকদের কাছ থেকে সেই টাকা কেটে এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া বা বিএসএনএলকে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া এই টাকায় জিওর কোন মুনাফা হচ্ছে না।

ট্রাইয়ের নিয়ম অনুসারে, যখন কোন গ্রাহক এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে কল করেন তখন ওই গ্রাহকের ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক সংস্থাকে কল করা নেটওয়ার্ক সংস্থাকে মিনিটে ৬ পয়সা করে চার্জ দিতে হয়।

ট্রাইয়ের নিয়মের এই চার্জ নিয়ে বিপুল টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল রিলাইন্স জিও সংস্থা বলে দাবি করে তারা। তারপরই গত ৯ অক্টোবর গ্রাহকদের জানিয়ে দেয়, ১০ ই অক্টোবর থেকে নতুন গ্রাহক অথবা নতুন রিচার্জের ক্ষেত্রে অন্য নেটওয়ার্কে কল করার জন্য আলাদা করে টপ-আপ ভরতে হবে। এই ঘোষণার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় জিও গ্রাহকদের মধ্যে, পাশাপাশি তোলপাড় হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া।

তবে এবার এই মিনিটে ৬ পয়সা নিয়ে নিজেদের মধ্যে খোঁচা দিতে শুরু করেছে জিও এবং অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি। কার্যত ট্রোলিংয়ের যুদ্ধে নেমে পড়েছে তারা। ট্রোল করতে নেমে জিও বিএসএনএলকে নীল রংয়ের ব্যাকগ্রাউন্ডে খোঁচা দিয়েছে।

ভোডাফোনকে খোঁচা দিতে গিয়ে তারা ব্যবহার করেছে লাল রং। যেহেতু ভোডাফোন ব্রান্ডের রং লাল।

ব্যাকগ্রাউন্ডে হলুদের উপর লিখে আইডিয়াকে ট্রোল করলো জিও। জিও লিখেছে, ‘হোয়াই দিস আইডিয়া স্যারজি’।

এয়ারটেলকেও সরাসরি ট্রোল করে লিখেছে, ‘এয়ার-টোল’।

যদিও এয়ারটেল সেই ট্রোলের যোগ্য জবাব দিয়েছে। এয়ারটেল লিখেছে ‘আনলিমিটেড মানে আনলিমিটেড’। এছাড়াও এয়ারটেল জিওকে খোঁচা দিয়েছে, ‘ইউ লুক কিউট ইন আওয়ার কালার’।

মোটের উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটওয়ার্ক অপারেটরদের এই মল্লযুদ্ধে রীতিমত উঠেছেন নেটিজেনরা।